সুব্রত বাইন ওরফে ফতেহ আলী
সুব্রত বাইন ওরফে ফতেহ আলী

অস্ত্র মামলায় সুব্রত বাইনসহ ৪ জনের বিচার শুরু

অস্ত্র আইনের মামলায় শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইনসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত।

আজ বুধবার ঢাকার মহানগর বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১৫–এর বিচারক ফাহমিদা জাহাঙ্গীর এ আদেশ দেন।

প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ওই আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মাহফুজ হাসান।

অভিযুক্ত অপর তিন আসামি হলেন আবু রাসেল মাসুদ ওরফে মোল্লা মাসুদ, এম এ এস শরীফ ও আরাফাত ইবনে নাসির। আগামী ১৬ নভেম্বর মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেছেন আদালত।

পিপি মাহফুজ হাসান প্রথম আলোকে বলেন, অস্ত্র মামলায় আজ সুব্রত বাইনসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। অভিযোগ গঠনের শুনানির সময় আসামিরা নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন।

পুলিশ ও আদালতসংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, অভিযোগ গঠনের আগে সুব্রত বাইন ও আরাফাতকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। এ ছাড়া মোল্লা মাসুদ ও শরীফ কারাগার থেকে ভার্চ্যুয়ালি শুনানিতে অংশ নেন।

অস্ত্র আইনের মামলায় গত ১৫ জুলাই সুব্রত বাইনসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।

গত ২৭ মে কুষ্টিয়া থেকে শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ওরফে ফতেহ আলী ও তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগী মোল্লা মাসুদ ওরফে আবু রাসেল মাসুদকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাঁদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী রাজধানী থেকে গ্রেপ্তার হন শুটার আরাফাত ও শরীফ।

অভিযানের সময় গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের কাছ থেকে ৫টি বিদেশি পিস্তল, ১০টি ম্যাগাজিন, ৫৩টি গুলি ও ১টি স্যাটেলাইট ফোন উদ্ধার করা হয়।

অস্ত্র আইনের মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০০১ সালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আসামি সুব্রত বাইন, মোল্লা মাসুদসহ ২৩ শীর্ষ সন্ত্রাসীর নাম ঘোষণা করে। সুব্রত বাইন তখন খুন-ডাকাতি করে দেশকে অস্থিতিশীল করে তোলেন। পরে তিনি ভারতে পালিয়ে যান। গত বছরের ৫ আগস্টের পর সুব্রত বাইন আবার দেশে এসে খুন, ডাকাতি, ছিনতাই, চাঁদাবাজিতে জড়ান।