সাবেক মন্ত্রী ও ফরিদপুর-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে প্রায় ৯৯ কোটি টাকার অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
রোববার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান দুদকের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন। তিনি বলেন, খন্দকার মোশাররফ হোসেন তার জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণভাবে ৩৫ কোটি ১৮ লাখ ৭৯ হাজার ৭৭ টাকা মূল্যের সম্পদ অর্জন করে তা নিজের ভোগদখলে রেখেছেন। এ ছাড়া ৭ কোটি ৭২ লাখ ১৮ হাজার টাকার স্থাবর সম্পদ হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে সম্পদ গোপনেরও প্রমাণ পাওয়া গেছে।
দুদক বলছে, মোট ১৫টি ব্যাংক হিসাবে ২০২৪ সাল পর্যন্ত খন্দকার মোশাররফের নামে জমা হয়েছে ৬৩ কোটি ৭৭ লাখ ১১ হাজার ৮৭৫ টাকা এবং ৫ লাখ ৭৫ হাজার ৭৬ মার্কিন ডলার। একই সময়ে এসব হিসাব থেকে উত্তোলন করা হয়েছে ৩৫ কোটি ৪৪ লাখ ৬ হাজার ৯৬৭ টাকা এবং ৫ লাখ ৫৮ হাজার ৭৪০ মার্কিন ডলার। সব মিলিয়ে মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯৯ কোটি ২১ লাখ ১৮ হাজার ৮৪২ টাকা ও ১১ লাখ ৩৩ হাজার ৮১৬ মার্কিন ডলার।
দুদক আরও জানিয়েছে, খন্দকার মোশাররফ হোসেনের প্রকৃত আয়ের পরিমাণ ৪ কোটি ৫৩ লাখ ৫৪ হাজার ৭৩৫ টাকা, যা তাঁর অর্জিত সম্পদের তুলনায় অনেক কম।
এ ঘটনায় খন্দকার মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ও দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের বিভিন্ন ধারায় মামলা করা হয়েছে।