জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

জকসু নির্বাচনে ৮ জনের মনোনয়ন প্রত্যাহার

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল শিক্ষার্থী সংসদ নির্বাচনে আটজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। একই সঙ্গে বাদ যাওয়া কেন্দ্রীয় সংসদের ৪৭ জন প্রার্থীর মধ্যে ৯ প্রার্থী তাঁদের প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন।

আজ বুধবার জকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মোস্তফা হাসান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের তালিকা প্রকাশ করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা প্রার্থীরা হলেন ভিপি পদপ্রার্থী তাওসিন ইসলাম ও মিঠুন চন্দ্র রায়, জিএস পদপ্রার্থী মেহেদী হাসান শুভ, শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক পদপ্রার্থী মো. রিয়াদ সরকার ও উজ্জ্বল চন্দ্র রায়, পাঠাগার ও সেমিনার সম্পাদক পদপ্রার্থী আসিফ হোসেন ও নির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী মো. আশরাফুল ইসলাম ও আবুবকর সম্পদ।

জকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মোস্তফা হাসান বলেন, ‘আমরা সবকিছু দেখেশুনে কেন্দ্রীয় সংসদ ও হল সংসদে ১৮৯ জন প্রার্থীর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করেছি। এর মধ্যে বাদ যাওয়া প্রার্থীর মধ্যে ২ জনের ডোপ টেস্টে পজিটিভ আসে এবং বাকিরা বিভিন্ন অভিযোগসহ ডোপ টেস্টে অংশ নেয়নি। গত দুই দিনে আটজন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন।’

বিভিন্ন অভিযোগ ও ডোপ টেস্টের কারণে প্রাথমিক তালিকা থেকে ৪৭ জনকে বাদ দিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদের (জকসু) নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। কেন্দ্রীয় সংসদের ২১টি পদে ১৫৬ জন প্রার্থীকে চূড়ান্ত হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে এই তালিকা প্রকাশ করা হয়। এরপর সোমবার আপিলের প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় সংসদের ৯ জন প্রার্থীর প্রার্থিতা ফিরে দেওয়া হয়। ৮ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের ফলে বর্তমানে কেন্দ্রীয় সংসদের মোট প্রার্থী ১৫৭ জন। হল সংসদের ৩৩ জনসহ নির্বাচনে মোট প্রার্থী ১৯০ জন।

এর আগে গত ১৭ ও ১৮ নভেম্বর ৩৪ পদের বিপরীতে ২৪৯ জন মনোনয়নপত্র জমা দেন। যাচাই-বাছাই শেষে ২৪ নভেম্বর প্রাথমিক তালিকায় ২৩১ জন প্রার্থীর নাম প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন।

এ ছাড়া ‎৪ ডিসেম্বর সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সংশোধিত তফসিল ঘোষণা করা হয়। সেই তফসিল অনুযায়ী ৯ ও ১০ ডিসেম্বর প্রার্থীদের ডোপ টেস্ট সম্পন্ন হয়। নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী ১১ ডিসেম্বর চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়। যেখানে ২১ পদে ১৫৬ জন ও হল শিক্ষার্থী সংসদে ১৩ পদের বিপরীতে ৩৩ জন প্রার্থীর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। একই সঙ্গে তালিকা থেকে বাদ পড়েন ৫১ জন প্রার্থী।

তফসিল অনুযায়ী ১৫ ডিসেম্বর রাত ১২টা থেকে শুরু হয়ে ২৭ ডিসেম্বর রাত ১২টা পর্যন্ত প্রচারণা চলবে, ৩০ ডিসেম্বর ভোট গ্রহণ ও গণনা শেষে ফলাফল প্রকাশ করা হবে।