
তিন কোটি টাকার অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে সাতক্ষীরা পৌরসভার মেয়র তাজকিন আহমেদকে বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ ফারুক হোসেন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
চিঠিতে বলা হয়, সাতক্ষীরা পৌরসভার মেয়র তাজকিন আহমেদ বিদ্যমান বিধিবিধান যথাযথভাবে অনুসরণ না করে ২০১৬ সালের মার্চ থেকে ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত সময়ের মধ্যে ৫৮ লাখ ১৯ হাজার ৭০১ টাকা পানির বিল মওকুফসহ যথাযথভাবে বিল আদায় না করে অধিকাংশ ক্ষেত্রে মেয়র এককভাবে মওকুফ করেছেন। একই সময়ে পৌরসভার হাটবাজার ইজারা বাবদ ৬৬ লাখ ৩৯ হাজার ৫৫১ টাকা টাকা বকেয়া আছে। এ ছাড়া ভ্যাট, আয়কর বাবদ ৩৬ লাখ ৭০ হাজার ৯৭০ টাকা সরকারি খাতে জমা করা হয়নি।
চিঠিতে আরও জানানো হয়, একই সময়ে ১ কোটি ২৬ লাখ ২২ হাজার ৯৪৩ টাকার পৌর কর মওকুফ করা হয়েছে। অধিকাংশ কর মওকুফ করেছেন পৌর মেয়র। এ ছাড়া ট্রেড লাইসেন্সের ১৪ লাখ ১৩ হাজার ৭২৬ টাকা মওকুফ করা হয়েছে। এখানেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে মেয়র এককভাবে ট্রেড লাইসেন্সের ফি মওকুফ করেছেন। এসব অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন, ২০০৯-এর ধারা ৩২-এর উপধারা (১)(ঘ) মোতাবেক অসদাচরণ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে একই আইনের ধারা ৩১(১) অনুযায়ী সাতক্ষীরা পৌরসভার মেয়রের পদ থেকে তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।
সাতক্ষীরা পৌরসভার প্যানেল মেয়র ফিরোজ আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, চলতি বছর ১৩ জানুয়ারি পৌরসভার ১০ জন কাউন্সিলর মেয়র তাজকিন আহমেদের বিরুদ্ধে ১০ দফা অভিযোগ তুলে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও সচিব বরাবর দরখাস্ত করেন। বিষয়টি কয়েক দফা তদন্তের পর মেয়রকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেন, ঘটনাটি তিনি শুনেছেন। কিন্তু এখনো দাপ্তরিক কোনো চিঠি পাননি।