Thank you for trying Sticky AMP!!

অ্যাম্বুলেন্সে শিশুর লাশ, বাবা ও সৎমা উধাও

পিরাজপুরের মঠবাড়িয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এলাকায় অ্যাম্বুলেন্স থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে হামজালা (৫) নামের একটি শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনার পর শিশুটির বাবা ও সৎমা পলাতক রয়েছেন।

হামজালা মঠবাড়িয়া পৌরসভার দক্ষিণ বন্দর মহল্লার জুয়েল মোল্লার ছেলে। শিশুটির মা ফাতেমা বেগমের অভিযোগ, সৎমা শাহানা বেগমের নির্যাতনে হামজালার মৃত্যু হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এক বছর আগে জুয়েল মোল্লা ও ফাতেমা বেগমের বিবাহবিচ্ছেদ হয়। এরপর শাহানা বেগমকে বিয়ে করেন জুয়েল। বিবাহবিচ্ছেদের পর তাঁদের ছেলে হামজালা নানির (ফাতেমা বেগমের মা) কাছে থাকত। গত ২৯ মার্চ পবিত্র শবে বরাতের রাতে হামজালাকে বাড়িতে নিয়ে যান জুয়েল মোল্লা। গত বুধবার রাতে হামজালা অসুস্থ হয়ে পড়ে। ওই রাতে শিশুটিকে মনিরুজ্জামান নামের এক চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান জুয়েল মোল্লা। ওই চিকিৎসক শিশুটিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন। পরদিন বৃহস্পতিবার সকালে শিশুটিকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গতকাল রাত ১০টার দিকে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হামজালার মৃত্যু হয়। রাত ১২টার দিকে তার লাশ অ্যাম্বুলেন্সে করে মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এলাকায় রেখে জুয়েল মোল্লা ও সৎমা সাহানা বেগম পালিয়ে যান। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পিরোজপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

হামজালার মা ফাতেমা অভিযোগ করেন, হামজালাকে সৎমা শাহানা মারধর করলে সে অচেতন হয়ে পড়ে। পরে হাসপাতালে সে মারা যায়।

চিকিৎসক মনিরুজ্জামান বামনা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত। তিনি বলেন, ‘আমার বাসা মঠবাড়িয়ায়। রাতে বাসায় রোগী দেখি। গত বুধবার রাতে হামজালাকে আমার কাছে অচেতন অবস্থায় আনা হয়। তখন শিশুটির বাবা বলেছিল, পড়ে গিয়ে অসুস্থ হয়েছে। আমি শিশুটিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দিই। শিশুটির শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন ছিল না। তবে মুখমণ্ডলে সামান্য আঘাতের চিহ্ন ছিল।’

জুয়েল মোল্লা ও শাহানা বেগম ঘটনার পর থেকে পলাতক থাকায় তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

মঠবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ জেড এম মাসুদুজ্জামান বলেন, শিশুটির লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর কারণ জেনে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ঘটনায় অপমৃত্যু মামলা করা হয়েছে।