Thank you for trying Sticky AMP!!

আলোর পাঠশালার শিক্ষার্থীদের ঘরে ঘরে পোলাও রান্না

বাবুডাইং আদিবাসী আলোর পাঠশালার অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী লিপি খাতুনের মা দুলালী বেগম রান্না করেছেন পোলাও ও তেলের পিঠা। গতকাল শুক্রবার দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার ঝিলিম ইউনিয়নের বাবুডাইং পুরাতন পাড়ায়

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নের পদ্মাপাড়ে সূর্য নারায়ণপুর গ্রাম। পদ্মা নদীর ভাঙনের শিকার মানুষ এ গ্রামে ঠাঁই নিয়েছেন। দু-চার পরিবার করতে করতে এখনে প্রায় ১০০ পরিবারের বসবাস। এসব পরিবারের সন্তানেরা পড়াশোনা করে প্রথম আলো ট্রাস্ট পরিচালিত বাবুডাইং আদিবাসী আলোর পাঠশালাতে।

৯ মে প্রথম আলো ট্রাস্টের উদ্যোগে এসব পরিবারকে দেওয়া হয়েছে ঈদের সামগ্রী। ঈদের দিন সূর্য নারায়ণপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, যাঁরা উপহারসামগ্রী পেয়েছেন, তাঁদের প্রত্যেকের ঘরে পোলাওসহ বিভিন্ন কিছু রান্না হয়েছে। এ জন্য বাড়ির শিশুদের মধ্যে বেড়ে গেছে আনন্দের মাত্রা।

আলোর পাঠশালার অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী লিপি খাতুনের মা দুলালী বেগম রান্না করেছেন পোলাও এবং তেলের পিঠা। তা খেতে ভিড় জমিয়েছে আশপাশের শিশুরা। শুক্রবার দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার ঝিলিম ইউনিয়নের বাবুডাইং পুরাতন পাড়ায়

পাঠশালার পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী সুফিয়া খাতুন। সে জানায়, গতবার করোনা কারণে ভালোমতো ঈদ করতে পারেনি। এবার ঈদে করোনা থাকলেও উপহারসামগ্রী পেয়ে তাদের পাঠশালার শিক্ষার্থীদের ঘরে ঘরে পোলাও রান্না হয়েছে। এ জন্য ঈদে এবার অনেক মজা হচ্ছে।

রেশমি খাতুন, মরিয়ম খাতুন, আসমা খাতুন, ইসরাত খাতুন, মুর্শেদা খাতুন ও তুনজেরা খাতুন পাঠশালার বিভিন্ন শ্রেণির শিক্ষার্থী। তাদের বাড়িতে পোলাও রান্না হওয়ায় তারাও বেশ উচ্ছ্বসিত।

আলোর পাঠশালার শিক্ষার্থীরা ঈদের দিন চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার বাবুডাইং বনে আনন্দ আড্ডা দেয়

অনেক দিন স্কুল যাওয়া হয় না, জাতীয় সংগীতও গাওয়া হয় না বলে আক্ষেপ প্রকাশ করল অষ্টম শ্রেণির রেশমি খাতুন। দশম শ্রেণির ছাত্রী তুনজেরা খাতুন বলে, ‘এবারের ঈদটা আমাদের খুব আনন্দের হয়েছে। এ দিনটা মনে থাকবে। ধন্যবাদ আমাদের পাঠশালাকে।’