Thank you for trying Sticky AMP!!

কানাইঘাটে নারীকে যৌন হেনস্তা করে ভিডিও ধারণকারী আরও একজন গ্রেপ্তার

গ্রেপ্তার

সিলেটের কানাইঘাটে এক নারীকে তাঁর নিজ ঘরে ঢুকে যৌন হেনস্তা এবং তা ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় জড়িত আরও একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁর নাম আবদুল জব্বার (২৭)। তিনি আত্মগোপনে ছিলেন। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় কানাইঘাট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সাইদুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল পুলিশ কানাইঘাটের গাছবাড়ি এলাকার একটি সেতুর নিচে থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে।

ঘটনাস্থল থেকে মুঠোফোনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন এসআই সাইদুল। তিনি বলেন, ভিডিও ধারণকারী চারজনকে শনাক্ত করে মামলা হয়। এ মামলার এজাহারভুক্ত ১ নম্বর ও ২ নম্বর আসামি যথাক্রমে আবদুল্লাহ ওরফে কাড়াকাল (৪২) ও সাদ উল্লাকে (৪০) গত বুধবার গ্রেপ্তার করা হয়। এখন পলাতক আছেন এজাহারভুক্ত একজন আসামি। তাঁকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

কানাইঘাটে প্রবাসী পরিবারের এক নারীকে ২৮ আগস্ট রাতে যৌন হেনস্তা করে ভিডিও ধারণ করেন চারজন। পঞ্চাশোর্ধ্ব ওই নারীর এই ভিডিও প্রবাসে থাকা তাঁর দুই ছেলের কাছে পাঠিয়ে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করেন তাঁরা।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কানাইঘাট উপজেলার প্রবাসী পরিবারের এক নারীকে গত ২৮ আগস্ট রাতে যৌন হেনস্তা করে ভিডিও ধারণ করেন চারজন। পঞ্চাশোর্ধ্ব ওই নারীর এই ভিডিও প্রবাসে থাকা তাঁর দুই ছেলের কাছে পাঠিয়ে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করেন তাঁরা। টাকা না দিলে ভিডিওটি ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন। বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে প্রবাসী পরিবারটি গ্রামের পঞ্চায়েত কমিটির কাছে এক লাখ টাকা দিয়েছে। বাকি টাকা দেওয়ার আগে গত সোমবার সেই ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে দেন ওই চারজন।

ওই দিন সন্ধ্যার দিকে ঘটনাটি জেনে কানাইঘাট থানা-পুলিশ ওই এলাকায় যায়। পুলিশ ভিডিও ধারণকারী ব্যক্তিদের শনাক্ত করে। পুলিশ আসার খবর পেয়ে ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিরা পালিয়ে যান। পরদিন মঙ্গলবার সকালে ওই নারী বাদী হয়ে ধর্ষণচেষ্টা ও পর্নোগ্রাফি আইনে একটি মামলা করেন।

মামলার পর আসামিরা গা ঢাকা দিলে পুলিশ আসামি গ্রেপ্তারে সাঁড়াশি অভিযানে নামে। বুধবার দুপুরে সিলেট নগরীর উপকণ্ঠ হরিপুর থেকে আবদুল্লাহ ও সাদ উল্লাহকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আবদুল্লাহ ১ নম্বর ও সাদ উল্লাহ ২ নম্বর এজাহারভুক্ত আসামি। এজাহারভুক্ত তৃতীয় আসামি জব্বারের বাড়ি একই এলাকায়। এ ঘটনায় মামলা হওয়ার পর আসামিরা দলছুট হয়ে গা ঢাকা দিয়েছিলেন।

কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, প্রথম দফায় গ্রেপ্তার হওয়া দুজনকে পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। জব্বারকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড আবেদন করে কারাগারে পাঠানো হবে।