Thank you for trying Sticky AMP!!

কিশোরগঞ্জে বিলে মাছ ধরা ঘিরে সংঘর্ষে প্রাণ গেল একজনের

লাশ

কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে বিল থেকে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার বিকেলে উপজেলার কুকরারাই গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের পর থেকে ওই এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ ঘটনার পর আজ শনিবার সকালে দুই পক্ষের মধ্যে আবার এক দফা পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

নিহত ব্যক্তির নাম কালাচান মিয়া (৫২)। তিনি উপজেলার কৈলাগ ইউনিয়নের কুকরারাই গ্রামের মতি মিয়ার ছেলে। ওই এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। আজ দুপুর ১২টা পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কুকরারাই গ্রামের ওই বিল থেকে মাছ ধরে বিক্রি করে গ্রামের মসজিদ পরিচালনার জন্য ব্যয় করা হয়। গতকাল বিকেলে কালাচান ওই বিলে মাছ ধরতে যান। এ সময় বাদল মিয়া নামের স্থানীয় এক ব্যক্তি কালাচানকে মাছ ধরতে নিষেধ করেন। তবে বাদল মিয়ার নিষেধ অমান্য করে কালাচান মাছ ধরছিলেন। এতে দুজনের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে দুই পক্ষের বাড়ির লোকজন এসে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। সংঘর্ষের সময় কালাচান আঘাত পেয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথে কালাচানের মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় কালাচানের ছেলে আসাদুল হক (২৬) গুরুতর আহত হয়েছেন। আসাদুল বর্তমানে কিশোরগঞ্জের জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বাদল মিয়া বলেন, কালাচান ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা প্রায়ই বিল থেকে মাছ ধরে নিয়ে যান। কালাচানের দেখাদেখি অন্যরাও মাছ ধরতে চান। এতে মসজিদের আয় কমে যাচ্ছে। কালাচানকে এ কথা বলাতেই তাঁর লোকজন তাঁর ওপর হামলা চালান।

তবে কালাচানের পরিবারের দাবি, বাদল ও তাঁর লোকজন ওই বিলে একক নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে চান। সেই কারণে বিলের আশপাশের কাউকে দেখলেই তাঁরা চড়াও হন।

এ ব্যাপারে বাজিতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, বিলে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের সূত্রপাত। নিহত কালাচানের ঘাড়ের পাশে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি, তবে পুলিশ এ বিষয়ে তদন্ত করছে। ওই এলাকায় অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।