
মৌলভীবাজার সদর উপজেলা থেকে নারী, শিশুসহ ১৮ জন রোহিঙ্গাকে আটক করেছেন জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) সদস্যরা। গতকাল বৃহস্পতিবার শহরের শ্রীমঙ্গল সড়কের বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাঁদের আটকের পর সদর মডেল থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তাঁদের মধ্যে আটজন শিশু, পাঁচজন নারী ও পাঁচজন পুরুষ ছিলেন।
আটক ব্যক্তিরা পুলিশকে জানান, তাঁরা ভারত থেকে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার শিকড়িয়া সীমান্ত এলাকা দিয়ে অনুপ্রবেশ করেন। তবে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কর্মকর্তারা তা অস্বীকার করেছেন।
শিকড়িয়া সীমান্ত পড়েছে কুলাউড়ার পৃথিমপাশা ইউনিয়নে। পৃথিমপাশায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) দুটি ক্যাম্প আছে। সেগুলো হলো মুরইছড়া ও আলীনগর। বিজিবির ৪৬ ব্যাটালিয়ন ওই সীমান্ত এলাকার দায়িত্বে আছে।
শ্রীমঙ্গলে অবস্থিত বিজিবির ৪৬ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মিজানুর রহমান সিকদার মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, কুলাউড়া সীমান্ত দিয়ে কোনো রোহিঙ্গা অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করেননি। সীমান্তে বিজিবি নিয়মিত টহল দেয়। অনুপ্রবেশসহ চোরাচালান রোধে গতকাল বৃহস্পতিবার (১২ মে) পৃথিমপাশা ইউনিয়নের আলীনগর ক্যাম্পে এলাকাবাসীকে নিয়ে তাঁরা সচেতনতামূলক সভা করেছেন।
আটক রোহিঙ্গা ও এনএসআই থেকে পাওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে মৌলভীবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াছিনুল হক আজ শুক্রবার মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ওই রোহিঙ্গারা প্রথমে মিয়ানমার থেকে ভারতে, এরপর সেখান থেকে কুলাউড়ার শিকড়িয়া সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেন। কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যাওয়ার উদ্দেশ্য ছিল তাঁদের। তাঁদের উখিয়ায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।