কুষ্টিয়ায় ইজতেমা মাঠ থেকে মুসল্লিদের সরে যাওয়ার নির্দেশ, বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন

কুষ্টিয়া জেলার মানচিত্র
কুষ্টিয়া জেলার মানচিত্র

কুষ্টিয়ায় সাদপন্থীদের আয়োজিত তিন দিনের জেলা ইজতেমা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। আমবয়ানের মাধ্যমে বৃহস্পতিবার দুপুরে কুষ্টিয়া-মেহেরপুর মহাসড়কের পাশে মিরপুর উপজেলার মশান এলাকায় শুরু হয় ইজতেমা। অনুমতি না থাকার কথা বলে মিরপুর উপজেলা প্রশাসন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ইজতেমা বন্ধ করে দেন।

জানা গেছে, মাওলানা সাদ কান্ধলভীপন্থী মুরব্বিরা কুষ্টিয়ার মিরপুরে মশানে ইজতেমার আয়োজন করেন। এ জন্য সপ্তাহ ধরে তাঁরা প্রস্তুতি নিয়ে মাঠ তৈরি করেন। সেখানে ইজতেমার যাবতীয় প্রস্তুতি শেষ করে বৃহস্পতিবার দুপুরের পর শুরু হয় বয়ান। এর আগে তাঁরা প্রশাসনের কাছে লিখিত অনুমোদনের চিঠি দেন। তবে কোনো অনুমোদন মেলে না। শনিবার আখেরি মোনাজাত হওয়ার কথা রয়েছে।

বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে সেখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা যান। একপর্যায়ে মিরপুর উপজেলা নির্বাহী (ইউএনও) আবদুল কাদেরও ইজতেমা মাঠে আসেন। আয়োজকদের ইজতেমা বন্ধ করে নিজ নিজ এলাকায় চলে যাওয়ার অনুরোধ করেন। তারপরও মুসল্লিরা সেখানে বয়ান করতে থাকেন।

ইজতেমা আয়োজক কমিটির অন্যতম মুরব্বি নুরুল আমিন রতন বলেন, ‘আমরা অনুমতি চেয়েছিলাম, তারা দেয়নি। তারপরও আমরা মাঠ প্রস্তুত করেছি। নানা জায়গা থেকে হাজারো মুসল্লি এসেছেন। বয়ান চলছে। প্রশাসনের লোকজন এসেছে। তারা বিদ্যুতের লাইন কেটে দিয়েছে। আমরা মাইক চালাতে পারিনি। আমরা বিকল্প ব্যবস্থায় ইজতেমা চালিয়ে যাব ইনশা আল্লাহ।’

তিনি বলেন, ঢাকায় চাপ কমানোর জন্য জেলায় জেলায় ইজতেমা হচ্ছে। আজও ৫ জেলায় এক যোগে শুরু হয়েছে। আগে ৩০ জেলায় হয়েছে। এখানে খারাপ কিছু হচ্ছে না। এটা বন্ধ করে দেওয়া ঠিক হচ্ছে না। ইজতেমায় কুষ্টিয়াসহ কয়েক জেলার মুসল্লিরা যোগ দিয়েছেন। বিদেশি কিছু মুসল্লি রয়েছেন। বিদ্যুৎ লাইন কেটে দেওয়ায় দুর্ভোগে পড়েন তাঁরা।

ইউএনও আবদুল কাদের বলেন, করোনাকালে কোথাও গণজমায়েতের অনুমতি নেই। জেলা প্রশাসন তাঁদের কোনো অনুমতি দেয়নি। তাই আয়োজকদের ইজতেমা বাতিল করতে বলা হয়েছে। তাঁদের অনুরোধ করা হচ্ছে আর না চালানোর জন্য। এ ব্যাপারে তাঁদের সঙ্গে কথা চলছে।

ইজতেমা মাঠ থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাতটায় মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা প্রথম আলোকে বলেন, ‘যেহেতু প্রশাসনের কোনো অনুমতি নেই, তাই সেটা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। বিদ্যুৎ লাইন কারা কেটে দিয়েছে, আমরা জানি না।’