Thank you for trying Sticky AMP!!

কোস্টগার্ডকে ৯টি নৌযান হস্তান্তর করল খুলনা শিপইয়ার্ড

বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের জন্য এই ফ্লোটিং ক্রেন তৈরি করেছে খুলনা শিপইয়ার্ড

বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের জন্য নতুন করে ৯টি নৌযান তৈরি করেছে খুলনা শিপইয়ার্ড। এর মধ্যে রয়েছে একটি ফ্লোটিং ক্রেন, দুটি টাগ বোট ও ছয়টি উচ্চগতির বোট। আজ বুধবার খুলনা শিপইয়ার্ডে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মাধ্যমে নৌযানগুলো স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

খুলনা শিপইয়ার্ড আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পাশাপাশি বাংলাদেশে নিযুক্ত নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত অ্যান ভেন লিউইন উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আখতার হোসেন, খুলনা নেভাল এরিয়ার কমান্ডার রিয়ার অ্যাডমিরাল এম আনোয়ার হোসেন, বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের মহাপরিচালক রিয়ার অ্যাডমিরাল আশরাফুল হক চৌধুরী, খুলনা শিপইয়ার্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমোডর এম সামছুল আজিজ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে যে কোস্টগার্ডের যাত্রা শুরু হয়েছিল, তা এখন সত্যিকার অর্থে ‘গার্ডিয়ান অব সি’ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। বাংলাদেশের বাণিজ্যের ৯০ শতাংশই সমুদ্রপথে সম্পন্ন হয়। এ ছাড়া প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সমুদ্রসীমা নির্ধারিত হওয়ায় বঙ্গোপসাগরে বিশাল সমুদ্রসম্পদের ভান্ডার বাংলাদেশের অধিকারে এসেছে। এগুলো আহরণ ও সমুদ্রগামী জাহাজ নিরাপত্তা বিধানে বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে বহুমুখী পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। কোস্টগার্ডের জন্য খুলনা শিপইয়ার্ড নির্মিত এসব নৌযান হস্তান্তরের মাধ্যমে তাদের সক্ষমতা আরও বৃদ্ধি পাবে। এসব নৌযান তৈরিতে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড বজায় রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।

স্বাগত বক্তব্যে খুলনা শিপইয়ার্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম সামছুল আজিজ বলেন, খুলনা শিপইয়ার্ড এখন আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন একটি শিপইয়ার্ড। এখানে আন্তর্জাতিক মানের জাহাজ বা নৌযান তৈরির সব ধরনের সক্ষমতা রয়েছে। ভবিষ্যতে যুদ্ধজাহাজ তৈরির সময় খুলনা শিপইয়ার্ডকে প্রাধান্য দেওয়ার জন্য তিনি সংশ্লিষ্টদের আহ্বান জানান।

দুইটি টাগ বোটসহ নয়টি নৌযান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, টাগ বোট দুটিতে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি সংযোজন করা হয়েছে। ওই টাগ বোট ৩ হাজার ৫০০ টন ওজনের যেকোনো জাহাজের বার্থিং, আন বার্থিং, টোউ, পুশ, পুল অপারেশন ছাড়াও আগুন নেভানোর কাজে ব্যবহার করা যাবে। এ ছাড়া অন্য জাহাজের দুর্ঘটনাকালীন সহযোগিতা, ডুবন্ত জাহাজের উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করা যাবে।

এর বাইরে ফ্লোটিং ক্রেন দিয়ে ৩৫ টন ওজনের ডুবন্ত জাহাজ উদ্ধার এবং বিভিন্ন প্রকার মেশিনারিজ জাহাজ থেকে তীরে ও তীর থেকে জাহাজে পরিবহন করা সম্ভব হবে। ওই ৯টি নৌযানের পাশাপাশি কোস্টগার্ডের জন্য নারায়ণগঞ্জে নির্মিত একটি ইনশোর পেট্রোল ভেসেলও স্বরাষ্ট্রামন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করা হয়।