গুলি খেয়ে লুটিয়ে পড়ার পরও জীবিত ছিলেন সিনহা

মেজর (অব.) সিনহা
ফাইল ছবি

ঘটনার সময় তাঁরা কয়েকজন ঘটনাস্থলের আশপাশে ছিলেন। গুলি খেয়ে সিনহা মো. রাশেদ খান মাটিতে (রাস্তায়) পড়ে ছিলেন। তখনো তিনি জীবিত ছিলেন। টেকনাফের দিক থেকে ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ঘটনাস্থলে এসে সিনহার মৃত্যু নিশ্চিত করেন। ওসি প্রদীপের হাতেই সিনহার মৃত্যু ঘটেছে।

সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলার সাক্ষী মোহাম্মদ আলী তাঁর দেওয়া সাক্ষ্যে এসব কথা বলেছেন বলে জানিয়েছেন একাধিক আইনজীবী। আজ রোববার কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালতে তিনি এই সাক্ষ্য দেন। টেকনাফের মিনাবাজার এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ আলী এ মামলার ৩ নম্বর সাক্ষী।

২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর তল্লাশিচৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান।
আজ রোববার সকাল সোয়া ১০টা থেকে শুরু হয় সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলার দ্বিতীয় দফার সাক্ষ্য গ্রহণ। মধ্যখানে এক ঘণ্টার বিরতি নিয়ে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা পর্যন্ত চলে আদালতের কার্যক্রম।

আদালতের সরকারি কৌঁসুলি ফরিদুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, আজ একজন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ ও তাঁকে আসামিপক্ষের আইনজীবীদের জেরা শেষ হয়েছে। ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে দ্বিতীয় দফার সাক্ষ্য গ্রহণ। এই চার দিনে ১৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ হতে পারে। মামলার মোট সাক্ষী ৮৩ জন।

আদালতসংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, মোহাম্মদ আলীর জবানবন্দি শেষ হলে বেলা একটার দিকে তাঁকে জেরা শুরু করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। বেলা দুইটার দিকে এক ঘণ্টার বিরতি দেন আদালতের বিচারক। বেলা তিনটায় আবার শুরু হয় আদালতের কার্যক্রম।

সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা পর্যন্ত সাক্ষী মোহাম্মদ আলীকে জেরা করেন আসামিপক্ষের ১৩ জন আইনজীবী। আদালতে আসামি ওসি প্রদীপ কুমার দাশের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী রানা দাশগুপ্ত, পরিদর্শক লিয়াকত আলীর পক্ষে ছিলেন চন্দন দাশ ও এএসআই লিটন মিয়ার পক্ষে ছিলেন সৈকত কান্তি দে।

কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে নেওয়া হচ্ছে মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলার অন্যতম আসামি সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশকে। কক্সবাজার, ২৩ আগস্ট

সাক্ষ্য গ্রহণ ও জেরার সময় আদালতের কাঠগড়ায় ছিলেন ওসি প্রদীপ, লিয়াকত আলীসহ ১৫ জন আসামি। এর আগে প্রথম দফায় (২৩-২৫ আগস্ট) আদালতে সাক্ষ্য দেন মামলার বাদী ও সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস এবং দুই নম্বর সাক্ষী সাহেদুল ইসলাম সিফাত।