গোপালগঞ্জে পাঁচ মাসেই ভেঙে গেল আশ্রয়ণ প্রকল্পের দুটি ঘর

গোপালগঞ্জে মুজিব বর্ষ উপলক্ষে বরাদ্দ দেওয়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের দুটি ঘর ভেঙে পড়ার পর এগুলো সংস্কার করা হয়। বৃহস্পতিবার গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার উরফি ইউনিয়নের মধুপুর প্রকল্প এলাকায়।
ছবি: সংগৃহীত

গোপালগঞ্জে মুজিব বর্ষ উপলক্ষে বরাদ্দ দেওয়া আশ্রয়ণ প্রকল্প-২–এর প্রথম পর্যায়ের দুটি ঘরের কিছু অংশ ভেঙে পড়েছে। গত বুধবার বিকেলে বৃষ্টি চলাকালে সদর উপজেলার উরফি ইউনিয়নের মধুপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পের দুটি ঘর ভেঙে যায়।

উপজেলা প্রশাসন বলছে, মঙ্গল ও বুধবার টানা দুই দিনের বৃষ্টিতে বালু সরে গিয়ে এ ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে বুধবার বিকেলে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ঘটনাস্থলে যান। বৃহস্পতিবার ঘরগুলো মেরামত করা হয়।

মধুপুর আশ্রয়ণ প্রল্পের কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, মঙ্গলবার সকাল থেকে টানা বৃষ্টি হচ্ছিল। বৃষ্টিতে ঘরগুলোর সামনে থেকে বালু সরে যায়। এতে প্রকল্পের দুটি ঘরের সামনের বারান্দার দুটি পিলার ভেঙে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত ঘরগুলোর একটিতে মো. ইব্রাহীম শেখ ও তাঁর পরিবার এবং অপরটিতে মাহফুজা নামের এক নারী বাস করেন। ঘটনার সময় মাহফুজা ঘরেই ছিলেন।

উপকারভোগী মো. ইব্রাহীম শেখ বলেন, বুধবার সকাল থেকে বৃষ্টি হচ্ছিল। দুপুরের পর তিনি ঘরে ছিলেন না। বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে ঘরে ফিরে দেখেন সামনের বারান্দার দুটি পিলার ভেঙে গেছে এবং বারান্দার চাল এক পাশে নিচু হয়ে পড়েছে। ঘরের সামনে দিয়ে বৃষ্টির পানি নামাতে এই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। পরদিন ইউএনও এসে শ্রমিক দিয়ে ঘর ঠিক করে দিয়েছেন।

গোপালগঞ্জে মুজিব বর্ষ উপলক্ষে বরাদ্দ দেওয়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের দুটি ঘর ভেঙে পড়ার পর এগুলো সংস্কার করা হয়। শুক্রবার বিকেলে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার উরফি ইউনিয়নের মধুপুর প্রকল্প এলাকায়।

উপকারভোগী মাহফুজা বলেন, ‘বুধবারের বিকেলের বৃষ্টিতে বালু সরে গিয়ে আমার ঘরেরও দুটি পিলার ভেঙে পড়েছে। আমরা তখন পুরো ঘর ভেঙে পড়বে বলে আশঙ্কা করছিলাম। বৃষ্টি থেমে যাওয়ায় আর ভাঙেনি। আমরা পাঁচ মাস আগে এই ঘর পেয়েছি। এত তাড়াতাড়ি একটু বৃষ্টিতে এভাবে ভেঙে পড়ল! অবশ্য পরদিন প্রশাসনের লোক এসে ঘর ঠিক করে দিয়েছে।’

এ ব্যাপারে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন মুঠোফোনে বলেন, অতিবৃষ্টির কারণে সেখানে দুটি ঘরে সমস্যা হয়েছে। ঘরগুলো সংস্কার করে দেওয়া হয়েছে। তবে এই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে নতুন বালু ফেলে সেখানে ঘর নির্মাণ করার কারণে। বালু ঠিকভাবে বসতে না বসতেই বৃষ্টি শুরু হয়েছে।

ইউএনও রাশেদুর রহমান বলেন, ‘ঘর দুটি ভেঙে পড়ার বিষয়টি একটি দুর্ঘটনামাত্র। তা ছাড়া পাশের ঘরগুলোর বৃষ্টির পানি ওই প্রকল্পের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এ কারণেই ঘর দুটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঘটনার পরপরই প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেছি এবং ঘরগুলো দ্রুত মেরামতও করে দিয়েছি।’