Thank you for trying Sticky AMP!!

গ্রেপ্তার সাব্বিরের গুলি করার কথা স্বীকার

নড়াইলের ভাঙারি ব্যবসায়ী মুজিবর শেখকে গুলি করে ও কুপিয়ে টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় সাব্বির সরদার (২৬) নামের এক যুবক গ্রেপ্তার হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে নড়াইল পৌর এলাকার দক্ষিণ নড়াইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে তিন রাস্তার মোড় থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সাব্বির যশোর সদর উপজেলার রঘুরামপুর গ্রামের মো. নওয়াব আলী সরদারের ছেলে। তাঁর কাছ থেকে ছিনতাইয়ে ব্যবহার হওয়া পিস্তলসহ একটি গুলি ও একটি ম্যাগাজিন উদ্ধার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে যশোরের কোতোয়ালি থানায় মাকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা আছে। ওই ঘটনায় গত সোমবার গ্রেপ্তার হন নাইমুন ইসলাম (২৫)। তাঁর স্বীকারোক্তিতে ছিনতাইয়ে ব্যবহার হওয়া ছুরি উদ্ধার হয়। নাইমুনের বাড়িও যশোরের রঘুরামপুর গ্রামে। শুক্রবার গ্রেপ্তার হন নড়াইল পৌর এলাকার দুর্গাপুর গ্রামের তরিকুল ইসলাম (২২) ও নড়াইল সদর উপজেলার বাহিরডাঙ্গা গ্রামের কাজেম ওরফে কাদের মোল্লা (২২)।

৬ এপ্রিল বিকেলে মুজিবরকে (৫০) গুলি করে ও কুপিয়ে ২৫ হাজার টাকা ছিনতাই করেন দুর্বৃত্তরা। তাঁর কাছে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে না পেয়ে নড়াইল পৌর এলাকার ধোপাখোলা মোড়ে তাঁর দোকানে ওই ঘটনা ঘটান তাঁরা। তাঁর ডান পায়ের হাঁটুর নিচে গুলি লাগে। এ ছাড়া ছিনতাইকারীরা তাঁকে ধারালো ছুরি দিয়ে পিঠে কোপান।

শনিবার যশোরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে (পঙ্গু হাসপাতাল, যশোর) অস্ত্রোপচার করে মুজিবরের ডান পায়ের হাঁটুর ওপর থেকে কেটে ফেলতে হয়।

মুজিবরের ছেলে এলাহী শেখ কাঁদতে কাঁদতে প্রথম আলোকে বলছিলেন, ‘আমার বাবা চিরতরে পঙ্গু হয়ে গেলেন। তিনি ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর চিকিৎসায় প্রায় আড়াই লাখ টাকা খরচ হয়ে গেছে।’

এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নড়াইল সদর থানা উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আমির হোসেন জানান, সাব্বির নিজে গুলি করেছেন বলে স্বীকার করেছেন। ওই ঘটনায় ৯ এপ্রিল নড়াইল সদর থানায় মামলা হয়। মামলায় ছয়জন আসামির মধ্যে চারজন গ্রেপ্তার হয়েছেন।

আজ বুধবার দুপুরে পুলিশ সুপার প্রবীর কুমার রায় এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন। তিনি বলেন, গ্রেপ্তার হওয়ার পর সাব্বির এবং তাঁর আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতা দক্ষিণ নড়াইলের মামুনের নামে অস্ত্র আইনে মামলা হয়েছে। ছিনতাই মামলায় অন্য দুজন আসামিকে ধরার চেষ্টা চলছে।