Thank you for trying Sticky AMP!!

চট্টগ্রাম মেডিকেলে তৃতীয় দিনের মতো কর্মবিরতিতে ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা

চট্টগ্রাম মেডিকেলে গত বুধবার ছাত্রলীগের দুই পক্ষে মারামারির সময় দুই সহকর্মী আহত হওয়ার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার মানববন্ধন করেন ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা তৃতীয় দিনের মতো কর্মবিরতি পালন করছেন। ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মারামারি ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার সময় কয়েকজন ইন্টার্ন চিকিৎসক হামলার শিকার হওয়ার পর বুধবার থেকে এই কর্মসূচি পালন করছেন তাঁরা।

এর মধ্যে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁদের সঙ্গে বৈঠক করেও কর্মসূচি থেকে ফেরাতে পারেনি। ফলে আজ শুক্রবার তৃতীয় দিনের মতো বিভিন্ন ওয়ার্ডে চিকিৎসাসেবায় এর প্রভাব পড়ছে। হামলার প্রতিবাদে এবং দোষীদের শাস্তি দাবি করে বৃহস্পতিবার ক্যাম্পাসে মানববন্ধনও করেন ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা।

গত মঙ্গলবার রাতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের দুই পক্ষে দফায় দফায় মারামারি ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত পাঁচজন আহত হন। তাঁদের মধ্যে দুজন ইন্টার্ন চিকিৎসকও রয়েছেন। সংঘর্ষের মধ্যে ইন্টার্ন চিকিৎসক আহত হওয়ার ঘটনায় দোষীদের শাস্তি দাবি, ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের হামলার ঘটনায় তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ, ছাত্র নামধারী সন্ত্রাসীদের বহিষ্কার, ক্যাম্পাস ও ছাত্রাবাসে ইন্টার্নদের নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন দাবিতে কর্মবিরতির ঘোষণা দেওয়া হয়।

দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি থেকে ফিরবেন না বলে জানিয়ে দেন তাঁরা।

জানতে চাইলে ইন্টার্ন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের (আইডিএ) আহ্বায়ক মো. ওসমান গণি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের দাবিগুলো না মানা পর্যন্ত ইন্টার্নরা কর্মবিরতি চালিয়ে যাবে। বহিরাগতদের নিয়ে এসে আমাদের ওপর যাঁরা হামলা করেছে, তাদের শাস্তি দিতে হবে। আমাদের নিরাপত্তা না দেওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট চলবে। বুধবার পরিচালকের সঙ্গে বৈঠক হলেও বিষয়গুলোর সমাধান হয়নি। তাই ধর্মঘট চলবে।’

আজ শুক্রবারও বিভিন্ন ওয়ার্ড চলেছে ইন্টার্নদের ছাড়া। তবে কিছু কিছু ওয়ার্ডে দু–একজন ইন্টার্ন চিকিৎসক দায়িত্ব পালন করছেন। বর্তমানে করোনার প্রকোপ বাড়ায় হাসপাতালের অন্য ওয়ার্ডগুলোতে তুলনামূলকভাবে সাধারণ রোগী কম। তারপরও সেবা দিতে গিয়ে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের অভাব অনুভূত হয়েছে বলে জানান ওয়ার্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসকেরা।

এ বিষয়ে চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম হুমায়ূন কবীরের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তাঁকে ফোন করা হলে তিনি সাড়া দেননি।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিন শতাধিক ইন্টার্ন চিকিৎসক রয়েছেন।

তাঁদের মধ্যে রাঙামাটি মেডিকেল কলেজের প্রায় ৪০ জন রয়েছেন। এ ছাড়া মেক ডেন্টালের শিক্ষানবিশ চিকিৎসকেরাও রয়েছেন। গত বছরের জুলাই মাসেও মারামারির পর একবার তাঁরা কর্মবিরতি পালন করেছিলেন।