Thank you for trying Sticky AMP!!

ছাত্রলীগ কর্মী আসকার হত্যার ‘মূল’ আসামি পুলিশের হেফাজতে

কারাগার

চট্টগ্রামে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে আসকার বিন তারেক ওরফে ইভান নামের এক ছাত্রলীগ কর্মী হত্যা মামলায় এক কিশোরকে (১৭) আইনের আওতায় আনা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলা থেকে তাকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়। পুলিশ বলছে, ওই কিশোরই হত্যা মামলার মূল আসামি।

কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবির প্রথম আলোকে জানান, আজ পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে ওই কিশোরকে আদালতে পাঠানো হয়। আদালত আগামীকাল বুধবার এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাবেন।

গত ২২ এপ্রিল প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে খুন হন আসকার বিন তারেক ওরফে ইভান (১৮) নামের এক ছাত্রলীগ কর্মী। আসকার বিএএফ শাহীন কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র ছিলেন। এ হত্যাকাণ্ডে এখন পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

আসকারের বাবা এস এম তারেক পোশাক কারখানায় মালামাল সরবরাহের ব্যবসা করেন। হত্যাকাণ্ডের পর তাঁর বাবা প্রথম আলোকে বলেছিলেন, অনেক চেষ্টা করেও ছেলেকে তিনি ফেরাতে পারেননি। আড্ডা, খারাপ বন্ধুদের কাছ থেকে দূরে রাখতে পারেননি।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রমতে, সিটি করপোরেশনের জামালখান ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শৈবাল দাশ ও নগর ছাত্রলীগের সহসম্পাদক পরিচয় দেওয়া সাব্বির সাদেকের অনুসারীদের মধ্যে এলাকায় ভাসমান দোকানে চাঁদাবাজি ও আড্ডার জায়গা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এর জেরে আসকারকে খুন করা হয় বলে অভিযোগ আছে। আসকার ছাত্রলীগ নেতা সাব্বিরের অনুসারী। আসামিরা শৈবালের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। তবে শৈবাল দাশ প্রথম আলোর কাছে দাবি করেছেন, তাঁর কোনো অনুসারী নেই।

পুলিশ জানায়, ঘটনার সূত্রপাত ২০ এপ্রিল। ওই দিন কাজীর দেউড়ি এলাকায় ধ্রুব নামের এক তরুণকে একা পেয়ে মারধর করেন আসকার। এর জেরে ২২ এপ্রিল ইফতারের পর চেরাগী মোড়ে আসকারের বন্ধু অমিতকে মারধর করেন ধ্রুব। বিষয়টি জানার পর আসকার চেরাগী মোড়ে আসেন। সেখানে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে গেলে আসকারকে ছুরিকাঘাত করা হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনার এক দিন পর আসকারের বাবা কোতোয়ালি থানায় আটজনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। মামলায় ১০–১২ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়। মামলায় এখন পর্যন্ত দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।