জরাজীর্ণ ভবনে ঝুঁকি নিয়ে কাজ
জরাজীর্ণ টিনের চালাবিশিষ্ট ভবনটি দেখলে মনে হবে একটি পরিত্যক্ত স্থাপনা। দেয়ালের ফাটল থেকে গজিয়েছে বটগাছ। ভাঙা জানালা, দরজা আর পুরোনো টিনের চালায় বৃষ্টির পানি পড়লেই তা দেয়াল চুইয়ে পড়ে। সেই পানির দাগ ভবনটির দেয়ালজুড়ে। রুগ্ণ দশার ভবনটি সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয়।
ভবনটিতে কর্মরত ব্যক্তিদের ভাষ্য, ব্রিটিশ আমলে ভবনটি নির্মাণ করা হয়। এরপর আর সংস্কার করা হয়নি। ফলে জরাজীর্ণ ভবনটিতে কাজ চালাতে গিয়ে বিড়ম্বনায় পড়তে হয় কর্মকর্তাদের। অথচ এই কার্যালয় থেকেই ৪৭টি কমিউনিটি ক্লিনিক, ৭টি সাবসেন্টার, গ্রাম পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবাসহ মাঠপর্যায়ের কর্মসূচি পর্যবেক্ষণ ও কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
গত মঙ্গলবার দুপুরে কার্যালয়টিতে সেবা নিতে এসেছিলেন স্থানীয় বেশ কিছু রোগী। মালশাপাড়া মহল্লার জাহানারা খাতুন বলেন, রোগী বা সঙ্গে আসা কারও বসার জায়গা পর্যন্ত নেই। সেবা নিতে এসে রোগীরা আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন। একই কথা বলেন স্থানীয় বাসিন্দা রহিম বকস ও হেলেনা বেগম।
ভবনের ভেতরের দিকে যেতেই চোখে পড়ে ভাঙা দরজা–জানালার ছোট দুটি কক্ষে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে চলছে রোগীদের রক্ত, কফসহ বিভিন্ন পরীক্ষার কাজ। ১১ বছর ধরে ঝুঁকি নিয়ে এই কার্যালয়ে দায়িত্ব পালন করছেন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট শারমিন আক্তার।
শারমিন আক্তার বলেন, ভবনে অনেক মূল্যবান যন্ত্র আছে, যেগুলোর কোনো নিরাপত্তা নেই। বর্তমানে ঝড়–বৃষ্টির যে অবস্থা, তাতে যেকোনো সময় ভবনটি ভেঙে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। স্যানিটারি ইন্সপেক্টর আল মামুন বলেন, জেলা সদরে হয়েও ভবনটির এই দশা। কার্যালয়ের যক্ষ্মা, কুষ্ঠ নিয়ন্ত্রণ সহকারী শাহ আলম বলেন, এই টিনের ঘর ব্রিটিশ আমলে নির্মিত। এখানে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া দূরের কথা; মানুষের বসবাসের জন্যও উপযোগী নয়।
আরও পড়ুন
-
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনা সংক্রান্ত নির্দেশনা, বন্ধ প্রাক–প্রাথমিক
-
অভ্যুত্থানে ক্ষমতা দখল, অভ্যুত্থানেই পুরো পরিবারসহ খুন হলেন আফগান প্রেসিডেন্ট দাউদ খান
-
মেসিতে মুগ্ধ কাউকে একাদশে রাখবেন না প্রতিপক্ষ দলের কোচ
-
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রত্ব শেষ, তবু হলে থাকছেন নেতারা
-
দক্ষতা উন্নয়নে সরকারের পদক্ষেপের সফলতা পাওয়া গেছে, আইএলওর ফোরামে আলোচনা