Thank you for trying Sticky AMP!!

টিকটকের ফাঁদে পড়ে ধর্ষণের শিকার মেয়েটি

ধর্ষণ

মেয়েটি (১৩) সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে। তার ‘টিকটক’ ভিডিও বানানোর শখ। নিজের একটি টিকটক আইডিও আছে। সেখান থেকে পরিচয় আরও কয়েকজন টিকটক বন্ধুর সঙ্গে। ‘টিকটক স্টার’ বানানো হবে এমন কথা বলে মেয়েটিকে বাড়ি থেকে বের করেন ওই বন্ধুরা। এরপর তাকে নিয়ে যাওয়া হয় একটি নির্জন জায়গায়। সেখানে টানা তিন দিন আটকে রেখে চলে দলবেঁধে ধর্ষণ।

ওই কিশোরীর বাড়ি গাজীপুরে। ২৩ ডিসেম্বর বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয় সে। ২৪ ডিসেম্বর টঙ্গী পূর্ব থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে তার পরিবার। আজ শনিবার অভিযান চালিয়ে রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকা থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে শিশির (১৯) ও জুনায়েদ (১৯) নামের দুই তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় বিকেলে একটি মামলা করেছে ওই কিশোরীর পরিবার।

মেয়েটির ভাবি জানান, ২৩ ডিসেম্বর বিকেলে নানার বাসায় বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে বাসা থেকে বের হয় মেয়েটি। এরপর সন্ধ্যা হয়ে গেলেও সে ফিরছিল না। খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে তার পরিবার বিষয়টি থানায় অবহিত করেন। মেয়েটির ভাবি আরও জানান, বাড়ি থেকে মেয়েটির নানার বাসা দুই মিনিটের পথ। সে সাধারণত তার নানার বাসায় একাই যাতায়াত করে।

পুলিশ বলছে, থানায় জিডি হওয়ার পর তিন দিনের মধ্যে মেয়েটিকে উদ্ধার করেছে টঙ্গী পূর্ব থানা-পুলিশ। মেয়েটি বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) চিকিৎসাধীন।

মেয়েটির বরাত দিয়ে ওই থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জিয়া বলেন, মূলত মেয়েটিকে টিকটক স্টার বানানোর প্রলোভন দেখিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় ঢাকার গেন্ডারিয়া এলাকায়। এরপর সেখানে একটি কক্ষে আটকে রেখে শিশির, শাওন, জুনায়েদসহ অজ্ঞাত আরও একজন তাকে ধর্ষণ করেন। মেয়েটির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, শিশির ও জুনায়েদকে ঢাকার ওয়ারী থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, মেয়েটি মুঠোফোনে আসক্ত। তার নিজের টিকটক আইডি আছে। সেখান থেকেই পরিচয় হয় আসামিদের সঙ্গে। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।