Thank you for trying Sticky AMP!!

তিন দশকে অর্ধেক তাঁত কারখানা বন্ধ

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে তাঁত কারখানায় কাজ করছে এক শিশু। প্রথম আলো ফাইল ছবি

গত তিন দশকে অর্ধেক তাঁত কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। বর্তমানে দেশে ১ লাখ ১৬ হাজার ১৭৭টি তাঁত কারখানা আছে। ১৯৯০ সালে তাঁত কারখানার সংখ্যা ছিল ২ লাখ ১২ হাজার ৪২১। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তাঁত শুমারি ২০১৮-এর চূড়ান্ত ফলাফলে এই তথ্য উঠে এসেছে।

এই উপলক্ষে আগারগাঁওয়ের বিবিএস মিলনায়তনে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। তাঁত শুমারির বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন প্রকল্প পরিচালক মহিউদ্দিন আহমেদ।

বিবিএসের শুমারি অনুসারে, বাংলাদেশে যত তাঁত কারখানা আছে এর মধ্যে অর্ধেকের বেশি চট্টগ্রাম বিভাগে। চট্টগ্রাম বিভাগে মোট ৬৫ হাজার ১৭৭টি তাঁত কারখানা আছে। বিশেষ করে পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলায় এর আধিক্য বেশি। দ্বিতীয় স্থানে আছে রাজশাহী বিভাগ। সেখানে ১৯ হাজার ৬৮৪টি তাঁত কারখানা আছে। এ ছাড়া ঢাকা ও খুলনা বিভাগে যথাক্রমে ১১ হাজার ৫০৫টি ও ১৪ হাজার ৭৫৮টি তাঁত কারখানা আছে। সবচেয়ে কম ৮৭টি তাঁত কারখানা আছে ময়মনসিংহ বিভাগে। বাংলাদেশের চারটি জেলা ভোলা, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর ও সাতক্ষীরা জেলায় কোনো তাঁত কারখানা নেই।

অনুষ্ঠানে পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব সৌরেন্দ্র নাথ চক্রবর্তী বলেন, সরকার এখন গ্রহণযোগ্য ও বিশ্বাসযোগ্য তথ্য-উপাত্তের ওপর জোর দিচ্ছে। পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত হচ্ছে। তিনি মনে করেন, তাঁত কমে যাচ্ছে। এতে মন খারাপের কিছু নেই। তাঁতশিল্পের সঙ্গে জড়িত অনেকেই পেশা পরিবর্তন করছেন।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব (চলতি দায়িত্ব) গুলনার নাজমুন নাহার, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য আবুল কালাম আজাদ, বিবিএসের মহাপরিচালক কৃষ্ণা গায়েন।