Thank you for trying Sticky AMP!!

ত্রাণ পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে কাঁদলেন তারামন বিবি

প্রথম আলো ট্রাস্টের ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। সোমবার বেলা আড়াইটায় সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার তাজপুর ইউনিয়নের সোনাপাড়া গ্রামে

সত্তরোর্ধ্ব তারামন বিবির স্বামী মারা গেছেন ৩০ বছর আগে। নেই সন্তানও। বার্ধক্যের কারণে শরীর আর চলে না। তাই ভিক্ষাবৃত্তি করেই পেটের ক্ষুধা মেটান। বন্যায় তাঁর একচালা টিন-মাটির ঘর কোমরপানিতে ডুবে যায়। প্রাণ বাঁচাতে আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নেন। এখন আছেন তীব্র খাবারের সংকটে।

সোমবার বেলা আড়াইটায় তাঁর হাতে প্রথম আলো ট্রাস্টের একটি ত্রাণের প্যাকেট তুলে দেওয়া হয়। সঙ্গে সঙ্গে আবেগাপ্লুত হয়ে কেঁদে ফেলেন তারামন বিবি। সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার তাজপুর ইউনিয়নের সোনাপাড়া গ্রামের এই বাসিন্দা বলেন, ‘মাইনষের দেওয়া খিচুড়ি আর মুড়ি-চিড়া খাইয়া বাঁইচা আছি। এখন চাউল, ডাইল পাইছি, চুলায় আগুন দিমু।’

তারামন বিবিসহ ২০০ জনের হাতে আজ প্রথম আলো ট্রাস্টের ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়। বেলা ১১টা থেকে সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার তাজপুর, বেগমপুর ও সোনাপাড়া এবং বিশ্বনাথ উপজেলার উত্তর ধর্মদা ও নোয়াগাঁও গ্রামে পৃথক আয়োজনের মাধ্যমে এসব ত্রাণ দেওয়া হয়। প্রত্যেকের হাতে পাঁচ কেজি করে চাল, এক লিটার সয়াবিন তেল, এক কেজি মসুর ডাল, এক কেজি আটা, এক কেজি লবণ, ১০০ গ্রাম গুঁড়া মরিচ ও ১০০ গ্রাম গুঁড়া হলুদ তুলে দেওয়া হয়। ত্রাণ পেয়ে উচ্ছ্বসিত হন সবাই।

ত্রাণ বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সমাজকর্মী শোবাব আহমেদ ও জায়েদ আহমেদ, প্রথম আলো বন্ধুসভা সিলেটের সভাপতি হুমাইরা জাকিয়া, সমাজকল্যাণ ও পরিবেশ সম্পাদক তমা সূত্রধর, সদস্য ইয়াহিয়া হোসেন, মাহাম্মদ আবদুল মোহাইমিন প্রমুখ।

সোনাপুর এলাকায় ত্রাণ বিতরণকালে স্থানীয় সমাজকর্মী শোবাব আহমেদ বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন স্থানে বন্যায় এখন অনেকেই ক্ষতিগ্রস্ত। প্রথম আলো বানভাসি মানুষের সংবাদ প্রকাশের পাশাপাশি তাঁদের সহায়তা করতেও এগিয়ে এসেছে। মানবতার কল্যাণে প্রথম আলোর এমন উদ্যোগ সব সময়ই আমাদের উজ্জীবিত করে।’

পেশায় দিনমজুর শায়েস্তা মিয়ার (৬০) বাড়ি বিশ্বনাথ উপজেলার উত্তর ধর্মদা গ্রামে। ত্রাণ পেয়ে বাড়ি ফেরার সময় তিনি বলেন, ‘আট দিন পানির মধ্যে ছিলাম। এখন পানি নামলেও খাওনের অভাব দূর হইছে না। ধারদেনা কইরা কয় দিন চললেও এখন কেউ ধার দেয় না। বাচ্চাকাচ্চা নিয়া কষ্টে আছি। আমি আবার কয় দিন থাকি বেমার (অসুস্থ)। ত্রাণ পাইয়া খুশি হইছি।’


বন্যার্তদের সহায়তায় এগিয়ে আসুন

বন্যার্ত মানুষের সহযোগিতায় আপনিও এগিয়ে আসতে পারেন। সহায়তা পাঠানো যাবে ব্যাংক ও বিকাশের মাধ্যমে। হিসাবের নাম: প্রথম আলো ট্রাস্ট/ত্রাণ তহবিল, হিসাব নম্বর: ২০৭২০০১১১৯৪, ঢাকা ব্যাংক লিমিটেড, কারওয়ান বাজার শাখা, ঢাকা। অথবা বিকাশে পেমেন্ট করতে পারেন: ০১৭১৩০৬৭৫৭৬ এই মার্চেন্ট অ্যাকাউন্ট নম্বরে। এ ছাড়া বিকাশ অ্যাপের ডোনেশনের মাধ্যমেও আপনার সহযোগিতা পাঠাতে পারেন।

Also Read: ত্রাণের প্যাকেট পেয়ে কয় দিনের খাওয়ার চিন্তা দূর হলো তাঁদের

Also Read: ‘চাইল ডাইল তেল লবণ পাইছি, আইজ রাইতে ভাত খাইমু’