Thank you for trying Sticky AMP!!

ধর্ষণের মামলায় নারায়ণগঞ্জের কাউন্সিলর মাকছুদুল কারাগারে

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাকছুদুল আলমকে ধর্ষণের মামলায় কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। আজ দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে

নারায়ণগঞ্জে করোনা মহামারিতে লাশ দাফন ও সৎকার করে আলোচিত সেই কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম ওরফে খোরশেদকে ধর্ষণের মামলায় কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নাজমুল হকের আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন জানান তিনি। শুনানি শেষে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক।

Also Read: কাউন্সিলর মাকছুদুলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

মাকছুদুল আলম বিএনপির চেয়ারপারসনের সাবেক উপদেষ্টা ও গত নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে পরাজিত স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকারের ছোট ভাই। তিনি নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এবং নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি। অপর দিকে, মামলার বাদী নারায়ণগঞ্জ–মুন্সিগঞ্জ সিএনজি ওনার্স অ্যাসোসিয়শেনর সভাপতি।

নারায়ণগঞ্জ আদালত পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান প্রথম আলোকে জানান, ধর্ষণের মামলায় উচ্চ আদালত থেকে মাকছুদুলকে চার সপ্তাহের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেওয়া হয়েছিল। জামিন শেষে হাজির হলে নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের বিচারক তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

Also Read: কাউন্সিলর মাকছুদুলের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা

এর আগে গত বছরের ২৫ আগস্ট নারায়ণগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নাজমুল হকের আদালতে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন ওই নারী। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। ৪ নভেম্বর কাউন্সিলর মাকছুদুল আলমের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে জানিয়ে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে পিবিআই।

Also Read: 'এই দুর্দিনে কাউন্সিলর খোরশেদ ভাই দৌড়াইয়্যা আসছেন'

মামলার বাদী ওই নারী অভিযোগ করেন, তিনি কাউন্সিলর মাকছুদুলের বিবাহিত স্ত্রী। গত বছরের ২ আগস্ট কাঁচপুরের এসএস ফিলিং স্টেশনে মাকছুদুল নিজেই কাজি নিয়ে গিয়ে পাঁচ লাখ টাকা দেনমোহরে তাঁকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে তাঁদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক তৈরি হয়। তবে মাকছুদুল কাবিননামা পরে দেব বলে আর দেননি। এরপর একাধিকবার তাঁকে ধর্ষণ করেন মাকছুদুল। বিয়ের বিষয়টি জানাজানি হলে মাকছুদুল বাদীর সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। এর আগে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অজুহাতে তাঁর কাছ থেকে বড় অঙ্কের অর্থও হাতিয়ে নেন মাকছুদুল।

অভিযোগ অস্বীকার করে কাউন্সিলর মাকুছুদুল আলম দাবি করে আসছেন, তাঁকে রাজনৈতিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য প্রতিপক্ষের সঙ্গে মিলে ওই নারী তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছেন।
আরও পড়ুন///