Thank you for trying Sticky AMP!!

নিখোঁজের এক দিন পর ডোবায় শিশুর লাশ

সুনামগঞ্জের ধরমপাশা উপজেলায় ডোবা থেকে এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার বিকেলে উপজেলায় সদর ইউনিয়নের রাধানগর গ্রামের এক ডোবায় শিশুটির মরদেহ ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেন এলাকাবাসী। পরে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

শিশুটির নাম নাদিয়া আক্তার (৬)। নাদিয়া উপজেলার ধরমপাশা পশ্চিমপাড়া গ্রামের পান–সুপারি বিক্রেতা ছাবির মিয়ার মেয়ে। গত মঙ্গলবার বিকেলে রাধানগর গ্রামের সামনের মাঠ থেকে নিখোঁজ হয় সে।

এলাকাবাসী, শিশুটির পরিবার ও ধরমপাশা থানার পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে মেয়ে নাদিয়া আক্তারকে নিয়ে উপজেলার রাধানগর গ্রামে ছোট ফুপুর বাড়িতে বেড়াতে যান মা হ্যাপি আক্তার। দুপুরের খাবার খেয়ে শিশুটি বাড়ির সামনের মাঠে খেলাধুলা করতে থাকে। বেলা সাড়ে তিনটার দিকে হ্যাপি আক্তার গ্রামে ফিরে আসার জন্য মেয়েকে বাড়ির সামনের মাঠে গিয়ে ডাকাডাকি করতে থাকেন। উত্তর না পেয়ে তিনি আশপাশের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজাখুঁজি করেন। কিন্তু কোথাও কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। পরে গতকাল সন্ধ্যা সোয়া ছয়টার দিকে রাধানগর গ্রামের পেছনে একটি ডোবায় শিশুটির লাশ ভাসতে দেখে এলাকাবাসী। খবর পেয়ে এলাকাবাসীর সহায়তায় পুলিশ ওই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে।

নাদিয়ার বাবা ছাবির মিয়া বলেন, ‘আমার ছোট মেয়ে নাদিয়া কোনো সময়ই ডোবা, পুকুর ও নদীতে যেত না। কারও সঙ্গে আমাদের কোনো শত্রুতা নেই। যেখানে নাদিয়া লাশ পাওয়া গেছে, সেখানেও আমরা অনেকবার খুঁজেছি। কিন্তু পাইনি। এই মৃত্যু নিয়ে কারও বিরুদ্ধে আর কোনো অভিযোগ নেই।’

লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির দায়িত্বে থাকা ধরমপাশা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জহির আলী বলেন, শিশুটির শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। পানিতে ডুবেই শিশুটির মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

ধরমপাশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এজাজুল ইসলাম বলেন, ছয় বছরের এক শিশু নিখোঁজ রয়েছে উল্লেখ করে গতকাল দুপুরে ওই শিশুর বাবা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছিলেন। এই মৃত্যু নিয়ে পরিবারের কারও কোনো অভিযোগ না থাকায় শিশুটির লাশ তার স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। মৃত্যুর পেছনে অন্য কোনো রহস্য লুকিয়ে রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।