Thank you for trying Sticky AMP!!

পাঁচতলা ভবনের ছাদ থেকে পাইপ বেয়ে নিচে নামতে চেয়েছিল শিশুটি

মাদ্রাসার পাঁচতলা ভবনের ছাদ থেকে পাইপ বেয়ে নিচে নামতে গিয়ে ভয় পেয়ে ঝুলতে থাকে ১০ বছর বয়সী শিশু রোহান। আজ বুধবার দুপুরে নরসিংদী শহরের বাসাইলে

মাদ্রাসার পাঁচতলা ভবন। তার ছাদ থেকে পাইপ ধরে ঝুলছিল ১০ বছর বয়সী একটি শিশু। এ সময় শিশুটির কান্নায় স্থানীয় লোকজনের দৃষ্টিগোচর হয় বিষয়টি। পরে তাকে অনেক চেষ্টার পর উদ্ধার করা সম্ভব হয়। উদ্ধারের পর জানা যায়, সে ওই মাদ্রাসার তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী। হোস্টেলে থেকে সে পড়তে চায় না। কিন্তু তাকে বাড়ি যেতে না দেওয়ায় পাইপ বেয়ে পাঁচতলার ছাদ থেকে নামার পরিকল্পনা করেছিল।

আজ বুধবার দুপুরে নরসিংদী শহরের বাসাইলের ঘটনা এটি। আর দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে যাওয়া শিশুটির নাম রোহান সরকার। সে নরসিংদী শহরের শাপলা চত্বর এলাকার দারুত তাক্বওয়া মাদ্রাসার নাজেরা বিভাগের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র। তার বাবার নাম রোকন উদ্দিন সরকার। বাড়ি নরসিংদী পৌর এলাকার বাসাইল মহল্লাতেই।

শিশুটির পরিবারের লোকজন জানান, দারুত তাক্বওয়া মাদ্রাসার তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী রোহান পড়াশোনার চাপে ওই মাদ্রাসায় যেতে চাইত না। সম্প্রতি তাকে পড়াশোনায় মনোযোগী করার জন্য ওই মাদ্রাসায় আবাসিক শিক্ষার্থী হিসেবে রাখা হয়। তবে বাসা কাছে হওয়ায় প্রায়ই বাসায় যাওয়ার জন্য নানা ছলছুতো করতে শিশুটি। আজ বুধবার দুপুরে ওই মাদ্রাসার কলাপসিবল গেট তালাবদ্ধ থাকায় রোহান পাঁচতলার ছাদে যায়। সেখানে গিয়ে ছাদের পেছনের পাইপ বেয়ে নিচে নামার চেষ্টা করে। তবে কিছুটা নামার পরই ভয় পেয়ে সে ওই পাইপে আটকে যায়।

শিশুটির পরিবারের লোকজন জানান, দারুত তাক্বওয়া মাদ্রাসার তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী রোহান পড়াশোনার চাপে ওই মাদ্রাসায় যেতে চাইত না। সম্প্রতি তাকে পড়াশোনায় মনোযোগী করার জন্য ওই মাদ্রাসায় আবাসিক শিক্ষার্থী হিসেবে রাখা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিরা জানান, পাইপে আটকে গিয়ে শিশুটি কান্নাকাটি করতে শুরু করে। কান্নার শব্দ কোথা থেকে আসছে, তা দেখার জন্য আশপাশে তাকাতে থাকেন উপস্থিত লোকজন। এ সময় ওই শিশুটিকে পাঁচতলার পাইপ থেকে ঝুলতে দেখা যায়। পরে স্থানীয় লোকজন ওই মাদ্রাসার ছাদে উঠে রশি ও বাঁশের সাহায্যে তাকে টেনে তুলে উদ্ধার করেন।

শিশুটির বাবা রোকন উদ্দিন সরকার বলেন, মাদ্রাসার হোস্টেলে থাকার সময় তাঁর ছেলে রোহান প্রায়ই বাসায় আসার জন্য কান্নাকাটি করত। পড়াশোনা করতে চাইত না। আজ হোস্টেলের গেট বন্ধ পেয়ে সে ছাদের পাইপ বেয়ে নিচে নামার চেষ্টা করে। পরে এলাকাবাসীর সহায়তায় সে মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পায়। তবে মাদ্রাসায় কোনো শিক্ষক শিশুটিকে ভয়ভীতি প্রদর্শন বা নির্যাতন করেননি বলে জানান তার বাবা।