Thank you for trying Sticky AMP!!

বঙ্গবন্ধু ও সংবিধানবিরোধীদের জন্য ৩ অপশন কুষ্টিয়ার এসপির

বিপ্লবী বাঘা যতীনের ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনায় কুষ্টিয়ার কুমারখালীর কয়া মহাবিদ্যালয়ে আজ সোমবার এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য দেন কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এস এম তানভীর আরাফাত

বিপ্লবী বাঘা যতীনের ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনায় কুষ্টিয়ার কুমারখালীর কয়া মহাবিদ্যালয়ে আজ সোমবার এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কুমারখালী নাগরিক পরিষদের ব্যানারে প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন কুষ্টিয়া-৪ (কুমারখালী-খোকসা) আসনের সাংসদ ও যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য সেলিম আলতাফ। এখানে দেওয়া বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের সংবিধান নিয়ে যারা কথা বলতে চান, তাদের জন্য তিনটি অপশন দেন কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার (এসপি) এস এম তানভীর আরাফাত।

বেলা ১১টায় কুমারখালী নাগরিক পরিষদের সভাপতি আকরাম হোসেনের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভা শুরু হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন সাংসদ সেলিম আলতাফ। তিনি বলেন, যারা যে উদ্দেশ্যে এ ঘটনা ঘটিয়ে থাকুক না কেন, প্রত্যেকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অন্য দল থেকে অনুপ্রবেশকারী কাউকে দলের পদ দেওয়া হলে যেসব নেতা পদ দেবেন, তাঁদের বিরুদ্ধেও সংগঠন থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অসাম্প্রদায়িক বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে কোনো মৌলবাদী বা দুষ্কৃতকারীর ঠাঁই হবে না।

কুষ্টিয়ার এসপি এস এম তানভীর আরাফাত তিনটি অপশন দিয়ে বলেন, ‘এক. উল্টাপাল্টা করবা হাত ভেঙে দেব, জেল খাটতে হবে। দুই. একেবারে চুপ করে থাকবেন, দেশের স্বাধীনতা ও বঙ্গবন্ধুর ইতিহাস নিয়ে কোনো প্রশ্ন করতে পারবেন না। তিন. আপনার যদি বাংলাদেশ পছন্দ না হয়, তাহলে ইউ আর ওয়েলকাম টু গো ইউর পেয়ারা পাকিস্তান।’

এ ছাড়া সেখানে কুমারখালী পৌরসভার মেয়র শামসুজ্জামান, মুক্তিযোদ্ধা এ টি এম আবুল মনসুর, শিলাইদহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন খান, কুমারখালী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মনির হাসান বক্তব্য দেন। তবে কয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল ইসলামকে প্রতিবাদ সভায় দেখা যায়নি। স্থানীয় লোকজন বলছেন, কয়া ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা ও ভাস্কর্য ভাঙচুর মামলার আসামি আনিচুর রহমান তাঁর সঙ্গে রাজনীতি করেন। ঘটনার দিন সকালে জিয়াউল ইসলাম যখন গণমাধ্যমে বক্তব্য দেন, তখনো আনিচুরকে তাঁর সঙ্গে দেখা গেছে।

গত বৃহস্পতিবার রাতে কুমারখালী উপজেলার কয়া গ্রামে বাঘা যতীনের ভাস্কর্যটি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গত শুক্রবার বিকেলে কয়া কলেজের অধ্যক্ষ হারুন অর রশীদ বাদী হয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেন।

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে, আনিচুর রহমানের নেতৃত্বে কয়েকজন যুবক সরাসরি ভাস্কর্য ভাঙচুরে অংশ নিয়েছেন। কয়া মহাবিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বে এ ঘটনা ঘটানো হয়।

এর আগে ৪ ডিসেম্বর রাতে কুষ্টিয়া শহরের পাঁচ রাস্তার মোড়ে বঙ্গবন্ধুর নির্মাণাধীন ভাস্কর্য ভাঙচুর করা হয়। ওই ঘটনায় পুলিশ মাদ্রাসার দুই শিক্ষক ও দুই ছাত্রকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায়।