Thank you for trying Sticky AMP!!

বরগুনায় বিরোধপূর্ণ জমি দখলের পর বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

জমি নিয়ে বিরোধের জেরে সত্তরোর্ধ্ব বৃদ্ধকে তাঁর ফুফাতো ভাই লোকজন নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে

বরগুনার আমতলীতে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে সত্তরোর্ধ্ব বৃদ্ধ সোনা মিয়া হাওলাদারকে (৭০) তাঁর ফুফাতো ভাই মেনাজ ফকির ও তাঁর লোকজন পিটিয়ে হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার পূর্ব সোনাখালী গ্রামে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ নিহত সোনা মিয়ার লাশ উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। পাশাপাশি এ ঘটনায় হত্যা মামলা করার প্রস্তুতি চলছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আমতলী উপজেলার পূর্ব সোনাখালী গ্রামের সোনা মিয়া হাওলাদারের সঙ্গে তাঁর ফুফাতো ভাই মেনাজ ফকিরের দীর্ঘদিন ধরে এক একর জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। মেনাজ ফকিরের বাড়ি পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার আমখোলা ইউনিয়নের কানবাড়ীয়া গ্রামে। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পূর্ব সোনাখালী গ্রামের বিরোধপূর্ণ ওই জমিতে মেনাজ ফকির ২০-২২ জন লোক নিয়ে ট্রাক্টর দিয়ে জমি চাষাবাদ শুরু করেন। খবর পেয়ে সোনা মিয়া হাওলাদার তাঁদের জমি চাষাবাদে বাধা দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মেনাজ ও তাঁর সঙ্গে থাকা মোতালেব, আদম আলী ফকির, আবুল মৃধা, মোস্তফাসহ লোকজন বৃদ্ধ সোনা মিয়াকে মারধর শুরু করেন।

একপর্যায়ে বৃদ্ধ সোনা মিয়াকে রক্ষায় তাঁর ছোট ভাই মো. আবদুর রশিদ হাওলাদার মেনাজ ফকিরের পা জড়িয়ে ধরে কাকুতিমিনতি করে ভাইয়ের প্রাণ ভিক্ষা চান। কিন্তু তাতে হামলাকারীরা ক্ষান্ত দেননি। পিটিয়ে হত্যা করে লোকজন নিয়ে মেনাজ ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।

একপর্যায়ে বৃদ্ধ সোনা মিয়াকে রক্ষায় তাঁর ছোট ভাই মো. আবদুর রশিদ হাওলাদার মেনাজ ফকিরের পা জড়িয়ে ধরে কাকুতিমিনতি করে ভাইয়ের প্রাণ ভিক্ষা চান। কিন্তু তাতে হামলাকারীরা ক্ষান্ত দেননি। পিটিয়ে হত্যা করে লোকজন নিয়ে মেনাজ ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। খবর পেয়ে আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ আলম হাওলাদার ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহত সোনা মিয়া হাওলাদারের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান। পুলিশ লাশ ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

এ ঘটনায় এলাকাবাসী দোষীদের শাস্তি দাবি করেন। নিহত সোনা মিয়া হাওলাদারের ছেলে জালাল হাওলাদার বিচার দাবি করে বলেন, ‘আমার বাবাকে মেনাজ ফকির, মোতালেব, আদম আলী ফকির, আবুল মৃধা, মোস্তফাসহ ২০-২২ জন লোক পিটিয়ে হত্যা করেছে।’

আমতলী থানার ওসি মো. শাহ আলম হাওলাদার বলেন, নিহত সোনা মিয়া হাওলাদারের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।