Thank you for trying Sticky AMP!!

বাবুডাইং আদিবাসী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা আশেকুর রহমানের স্মরণসভা

আশেকুর রহমানের স্মরণসভা অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি অভিভাবক ও গ্রামের লোকজন অংশ নেন

রাজশাহীর গোদাগাড়ীর বাবুডাইং আদিবাসী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা আশেকুর রহমানের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের বাবুডাইং গ্রামে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি অভিভাবক ও গ্রামের লোকজন অংশ নেন। বিদ্যালয়টি এখন প্রথম আলো ট্রাস্ট পরিচালনা করে। প্রাক-প্রাথমিক থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত এই বিদ্যালয়ে পাঠদান করা হয়। বর্তমানে বিদ্যালয়টির নাম বাবুডাইং আদিবাসী আলোর পাঠশালা।

অনুষ্ঠানের শুরুতে সকাল ১০টায় এক মিনিট দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করা হয়। এরপর শিক্ষার্থীরা ফুল দিয়ে আশেকুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায়। অনুষ্ঠানের আলোচনা অংশে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলী উজ্জামানের নূরের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কানাই চন্দ্র দাস, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সুজারুদ্দিন, গ্রাম্য মোড়ল সুরেন কোল টুডু, কার্তিক কোল টুডু, চাঁপাইনবাবগঞ্জের প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক আনোয়ার হোসেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রথম আলো বন্ধুসভার উপদেষ্টা জহিরুল ইসলাম, প্রাক্তন শিক্ষার্থী জয়ন্ত কোল সরেন প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বরেন্দ্রভূমিতে অবস্থিত গোদাগাড়ী উপজেলার বাবুডাইং গ্রামটি সবদিক থেকে পিছিয়ে ছিল। এটি ছিল সুবিধাবঞ্চিত একটি গ্রাম। এই গ্রামের শিশুদের জন্য কোনো বিদ্যালয়ও ছিল না। এমন অবস্থায় প্রথম আলোর প্রতিবেদন দেখে আশেকুর রহমান এই গ্রামে আসেন এবং বাবুডাইং আদিবাসী প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। পরে প্রথম আলো ট্রাস্ট এই বিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত হয়। বিদ্যালয়টি প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক পর্যায়ে উন্নীত হয়েছে। গ্রামে এখন পাকা রাস্তা হয়েছে। গ্রামের মানুষের জীবনযাত্রা বদলে গেছে অনেকটাই। যার সূচনা হয়েছিল আশেকুর রহমানের হাত ধরেই।

আশেকুর রহমান আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশের (আইসিডিডিআরবি) বিজ্ঞানী ছিলেন। এ ছাড়া তিনি বিভিন্ন সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।