Thank you for trying Sticky AMP!!

বাসস্ট্যান্ডে ফেলে যাওয়া ব্যক্তির স্ত্রীর করোনা নেগেটিভ

করোনাভাইরাস পজিটিভ নিয়ে বগুড়ার মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আইসোলেশনে ভর্তি রংপুরের সেই শ্রমজীবী ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা তাঁর স্ত্রীর শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি মেলেনি। ওই ব্যক্তির সঙ্গে হাসপাতালে এক সপ্তাহ ধরে অবস্থান করছিলেন তাঁর স্ত্রী। 

ওই ব্যক্তির শরীরে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ার পর রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরামর্শে তাঁর স্ত্রীর নমুনা সংগ্রহ করে গতকাল রোববার রাজশাহী মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়। আজ সোমবার ফল পাওয়া গেছে।
মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) শফিক আমিন রাত আটটায় প্রথম আলোকে বলেন, করোনা রোগীর সংস্পর্শে থাকা তাঁর স্ত্রীর শরীরে করোনার কোনো উপস্থিতি মেলেনি। আর হাসপাতালে রোগীর সংস্পর্শে আসা তাঁর মেয়েজামাইকে রংপুরের বাড়িতে কোয়ারেন্টিনে রাখায় তাঁর নমুনা সংগ্রহ সম্ভব হয়নি। করোনা পজিটিভ হলেও রোগীর শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল।
করোনার সংক্রামণ শুরু হলে ২৯ মার্চ রাতে একটি ট্রাকে চড়ে রাজধানীর কারওয়ান বাজার থেকে রংপুরের উদ্দেশে রওনা দেন ওই ব্যক্তি। ট্রাকে আরও ২০ থেকে ২৫ জন মানুষ ছিলেন। পথে জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্ট শুরু হলে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এমন আতঙ্কে ওই ব্যক্তিকে ভোররাতে মহাস্থান বাসস্ট্যান্ডে নামিয়ে দেওয়া হয়। দীর্ঘক্ষণ পড়ে থাকার পর পুলিশের সহযোগিতায় একটি রিকশাভ্যানে তাঁকে প্রথমে শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখান থেকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুদিন রাখা হয়। তিনি বর্তমানে বগুড়ার মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন আছেন। নমুনা পরীক্ষায় তাঁর শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ে।

হদিস নেই ট্রাকের ও ভ্যানচালকের
এদিকে সেই ট্রাকের এখনো কোন হদিস মেলেনি। স্থানীয় প্রশাসন ট্রাকের সন্ধান করার পাশাপাশি ওই ভ্যানচালককে হন্যে হয়ে খুঁজছে।
শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আলমগীর কবির প্রথম আলোকে বলেন, হাসপাতালের সিসিটিভি দেখে ভ্যানচালককে শনাক্তের চেষ্টা করছে পুলিশ। কিন্তু কোনো কিছুতেই তাঁর হদিস মিলছে না। আবার যে ট্রাকে চড়ে তিনি ঢাকা থেকে মহাস্থান বাসস্ট্যান্ডে এসেছেন, সেটিকেও শনাক্ত করা যাচ্ছে না।
ওই রোগীর শরীরে করোনা পজিটিভ আসার পর চিকিৎসার প্রয়োজনে সংস্পর্শে আসা বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হৃদ্‌রোগ বিভাগের প্রধানসহ ৫ চিকিৎসক ও ৮ নার্সসহ ১৬ জনকে গত শুক্রবার থেকে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া বাসস্ট্যান্ডে ওই রোগীকে ওষুধ খাওয়াতে গিয়ে সংস্পর্শে আসা স্থানীয় এক সাংবাদিক এবং শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে বগুড়া পর্যন্ত বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সচালককেও কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, রাজধানীর কারওয়ান বাজারে একটি সবজির আড়তে শ্রম দিতেন ৫০ বছর বয়সী রংপুরের ওই ব্যক্তি।