ক্যাশ কাউন্টার থেকে ৪০ হাজার টাকা গুনে নিয়ে ব্যাংকের বাইরে আসেন আবদুর রউফ মণ্ডল (৬৮)। হঠাৎ পেছন থেকে এক তরুণ দৌড়ে এসে বলেন, ‘স্যার, আপনার কাছে দুটি নোট বেশি এসেছে। আপনাকে স্যার ব্যাংকে ডাকছেন।’ এ কথা শুনে পকেট থেকে টাকার বান্ডিল বের করা মাত্র ওই তরুণ কেড়ে নিয়ে ব্যাংকের ফটকে ঢোকেন। এরপর আর ওই তরুণের খোঁজ মেলেনি।
আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সোনালী ব্যাংক জয়পুরহাট প্রধান কার্যালয় থেকে প্রায় ৫০ গজ দূরে এ ঘটনা ঘটেছে। টাকা হারানো আবদুর রউফ জয়পুরহাট শহরের কাশিয়াবাড়ি এলাকার বাসিন্দা। ২০১৫ সালে তিনি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী থেকে অবসরে যান।
ক্লোজড সার্কিট টিভি ক্যামেরায় (সিসিটিভি) ধারণকৃত দৃশ্যে দেখা গেছে, আবদুর রউফ মন্ডল সোনালী ব্যাংক জয়পুরহাট প্রধান কার্যালয় থেকে বের হয়ে সড়কের পশ্চিম দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় মাস্ক পরা এক তরুণ ব্যাংকের ফটকের কাছ থেকে বের হয়ে দৌড়ে আবদুর রউফ মন্ডলের কাছে যান। তাঁদের কথোপকথনের পর আবদুর রউফ মন্ডল তাঁর পকেট থেকে টাকার বান্ডিল বের করেন। তখন ওই তরুণ আবদুর রউফ মন্ডলের কাছে টাকা কেড়ে নিয়ে দৌড়ে ব্যাংকের ফটকের ভেতর ঢোকেন।
আবদুর রউফের ছেলে শাহরিয়ার শাওন প্রথম আলোকে বলেন, ওই তরুণ আবদুর রউফকে ‘স্যার, স্যার’ বলে ডাকছিলেন। তখন তিনি প্রধান সড়কের আরাফাত ট্রেডিংয়ের সামনে দাঁড়ানো। এরপর ওই তরুণ দুটি নোট বেশি যাওয়ার কথা বলেন। ব্যাংক কর্মকর্তারা ডাকছেন বলেও জানান। তখন আবদুর রউফ পকেট থেকে টাকা বের করেন। ওই তরুণ টাকা কেড়ে নিয়ে ব্যাংকের ফটকের ভেতর ঢোকেন। রউফও ব্যাংকের ফটকের ভেতর ঢুকে আর ওই তরুণকে খুঁজে পাননি। ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপককে বিষয়টি জানিয়েছেন। এ ঘটনায় জয়পুরহাট সদর থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন।
সোনালী ব্যাংক জয়পুরহাট প্রধান শাখার ব্যবস্থাপক মাহবুব আলম জিলানী প্রথম আলোকে বলেন, এ ঘটনার পর পুলিশ ব্যাংকে এসেছিল। পুলিশ সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করেছে। সম্প্রতি ব্যাংকের আশপাশে এ রকম ঘটনা আরও ঘটছে।
জয়পুরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আলমগীর জাহান প্রথম আলোকে বলেন, টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। এটি একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের কাজ। পুলিশ এই চক্রটি ধরতে তৎপরতা চালাচ্ছে।