ভাসানচর থেকে পালানোর চেষ্টা, ট্রলারডুবিতে ২৭ রোহিঙ্গা নিখোঁজ

নোয়াখালী জেলার মানচিত্র
নোয়াখালী জেলার মানচিত্র

নোয়াখালীর হাতিয়ার ভাসানচর থেকে পালানোর সময় ৪১ রোহিঙ্গা নিয়ে একটি মাছ ধরার ট্রলার সাগরে ডুবে গেছে। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে চট্টগ্রামের সন্দ্বীপের সীমানায় বঙ্গোপসাগরে এ ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটে।

আজ শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত এ ঘটনায় ১৪ জন রোহিঙ্গাকে জীবিত উদ্ধার করেছেন সাগরে মাছ ধরতে যাওয়া জেলেরা। এখন পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছেন ২৭ রোহিঙ্গা। এদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যা বেশি বলে জানা গেছে।

নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। শনিবার রাত সোয়া নয়টায় তিনি প্রথম আলোকে বলেন, শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে চট্টগ্রামের সন্দ্বীপের কাছে বঙ্গোপসাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে ওই ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটে। স্থানীয়ভাবে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী ডুবে যাওয়া ট্রলারটিতে নারী-শিশুসহ ৪১ জন রোহিঙ্গা ছিলেন। তাঁদের মধ্যে শনিবার ভোরে ১৪ জনকে নদীতে মাছ ধরতে যাওয়া জেলেদের সহায়তায় জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁরা ভাসানচরে ফিরে এসেছেন। এখনো ২৭ জন নিখোঁজ রয়েছেন।

ভাসানচর ক্যাম্পের ইনচার্জ সহকারী কমিশনার সুজিত কুমার চন্দ প্রথম আলোকে বলেন, ট্রলারডুবির ঘটনায় নিখোঁজ রোহিঙ্গাদের উদ্ধারে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের সদস্যরা অভিযান পরিচালনা করছেন। তবে নিখোঁজ রোহিঙ্গাদের নাম-পরিচয় এখন পর্যন্ত পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এ বিষয়ে কাজ চলছে।

স্থানীয় একটি সূত্রে জানা গেছে, কক্সবাজারের ক্যাম্প থেকে রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তরের কিছুদিন যেতে না যেতেই একশ্রেণির রোহিঙ্গার মধ্যে ভাসানচর থেকে পালানোর প্রবণতা লক্ষ করা যায়। সবশেষ ১৩ আগস্ট ৮ জন ও ৪ আগস্ট ১৫ জন রোহিঙ্গা ভাসানচর থেকে পালানোর সময় নোয়াখালীর সুবর্ণচর ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় ধরা পড়েন। পরে তাঁদের পুনরায় পুলিশ ভাসানচরে পাঠায়। এর আগেও কয়েক দফায় জেলার উপকূলবর্তী বিভিন্ন এলাকায় ভাসানচর থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা নাগরিক ধরা পড়েছে।