Thank you for trying Sticky AMP!!

মুন্সিগঞ্জে এক বাড়ি থেকে সাড়ে ৭ মেট্রিক টন ইলিশ জব্দ

ইলিশ মাছ

মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলায় প্রায় সাড়ে সাত মেট্রিক টন মা ইলিশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার রাতে উপজেলার কলমা ইউনিয়নের ডহরি গ্রামের সেন্টু সরদার নামের এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে মাছগুলো জব্দ করে উপজেলা প্রশাসন। আজ মঙ্গলবার সকালে মাছগুলো জেলার বিভিন্ন মাদ্রাসা ও এতিমখানায় বিতরণ করা হয়েছে।

লৌহজং উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মু. রাশেদুজ্জামান এ অভিযান পরিচালনা করেন। তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল সন্ধ্যার দিকে লৌহজংয়ের কলমা ইউনিয়নের ডহরি গ্রামের সেন্টু সরদারের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। এ সময় সেন্টু সরদারের তালাবন্ধ টিনের ঘরের তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকলে সারি সারি কর্কশিটের বাক্স দেখা যায়। কর্কশিটগুলো খুলে দেখা যায়, থরে থরে মা ইলিশ বরফের নিচে মজুত করা হয়েছে। মোট ৫৯টি বড় আকারের কর্কশিটের বাক্সে এসব ইলিশ রাখা ছিল। প্রতিটি বাক্সে ১০০টির ওপরে মাছ ছিল। টাকার অঙ্কে এসব ইলিশের মূল্য হবে প্রায় অর্ধকোটি টাকা। তবে অভিযানের সময় মজুতকারীরা পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।

মু. রাশেদুজ্জামান বলেন, সরকার ১৪ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত সারা দেশের নদ-নদীতে মা ইলিশ ধরা নিষেধ করেছে। এই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পদ্মা ও মেঘনা নদীতে একশ্রেণির মৌসুমি জেলে মা ইলিশ শিকার করছেন। প্রতিদিন নদীতে অভিযান চালিয়ে জেলেদের জেল-জরিমানা করা হচ্ছে। তারপরও থামানো যাচ্ছে না। তবে যেখান থেকে এই ইলিশগুলো উদ্ধার করা হয়েছে, এটা কোনো জেলের বাড়ি নয়। তাঁরা একশ্রেণির মৌসুমি ইলিশ ব্যবসায়ী। তাঁরা এই সময়ে অল্প দামে ইলিশ কিনে ঘরটিতে মজুত করেছিলেন। নিষিদ্ধ সময় শেষ হলেই এসব ইলিশ এখান থেকে ঢাকায় নিয়ে উচ্চ মূল্যে বিক্রি করা হতো।

লৌহজং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির বলেন, ‘আমরা আগে উদ্ধার করা মা ইলিশ লৌহজংয়ের প্রায় প্রতিটি এতিমখানায় বিলি করেছি। এবারের উদ্ধার করা মাছ জেলার অন্য উপজেলার মাদ্রাসা, এতিমখানায় ও গরিব মানুষের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে।’