
ময়মনসিংহের গফরগাঁও সরকারি কলেজে শিক্ষকদের লাঞ্ছনা ও অধ্যক্ষের কক্ষে ভাঙচুরের প্রতিবাদে কর্মবিরতি ও মানববন্ধন হয়েছে। আজ রোববার ময়মনসিংহে বিভিন্ন স্থানে সরকারি কলেজের শিক্ষকেরা এ কর্মসূচি পালন করেন। এ সময় লাঞ্ছিত করার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিচার দাবি করা হয়।
বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ময়মনসিংহের সরকারি আনন্দ মোহন কলেজের সামনে শিক্ষকেরা কর্মবিরতি পালন করেন। তাঁরা মূল ফটকের সামনে মানববন্ধন করেন। এ সময় আনন্দ মোহন কলেজের অধ্যক্ষ আমান উল্লাহ, উপাধ্যক্ষ নুরুল আফসারসহ অন্তত ১০ শিক্ষক বক্তব্য দেন।
আমান উল্লাহ বলেন, গফরগাঁওয়ের সরকারি কলেজের শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করা কতিপয় দুর্বৃত্তকে গ্রেপ্তার করে বিচার নিশ্চিত করতে হবে। তা না হলেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটতে থাকবে। শিক্ষকদের জন্য নিরাপদ কর্মপরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে।
উপাধ্যক্ষ নুরুল আফসার বলেন, গফরগাঁওয়ে এমন ঘটনা বারবার ঘটছে। একই জায়গায় কেন বারবার এমন ঘটনা ঘটছে, সেটা সরকারকে খুঁজে বের করতে হবে।
উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আতিকুর রহমান বলেন, ঘটনার চার দিন পার হয়ে গেছে। থানায় মামলা হয়েছে (লিখিত অভিযোগ)। কিন্তু চার দিনে পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করল না। অথচ এমন ঘটনা প্রশাসন বা পুলিশের কোনো কর্মকর্তার সঙ্গে ঘটলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করা হতো। অবিলম্বে আসামিদের গ্রেপ্তার করা না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।
এ ছাড়া ময়মনসিংহের মুমিন্নুনিসা সরকারি মহিলা কলেজসহ আটটি সরকারি কলেজে এক ঘণ্টার কর্মবিরতি ও মানববন্ধন হয়েছে।
গত বুধবার গফরগাঁও সরকারি কলেজের উচ্চমাধ্যমিক ফরম পূরণের টাকা কমানোর আন্দোলনের দাবিতে ছাত্রলীগের কর্মীরা কলেজের অধ্যক্ষের কক্ষ ভাঙচুর করেন এবং দুজন শিক্ষককে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। এ ঘটনার বিচার দাবিতে শিক্ষকেরা বুধবার বিকেলে গফরগাঁও থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। গত বৃহস্পতিবার লিখিত অভিযোগ প্রত্যাহারের দাবিতে ছাত্রলীগের কর্মীরা শিক্ষকদের একটি কক্ষে অবরুদ্ধ করে রাখেন। শিক্ষকদের অভিযোগ, স্থানীয় প্রশাসনের কাছে বিচার দাবি করলেও প্রশাসন বিষয়টি মীমাংসার দিকে নিতে চায়।
গফরগাঁও সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ কাজী ফারুক আহাম্মদ আজ রোববার বলেন, ‘ওই ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তির দাবি এবং শিক্ষকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবিতে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির সিদ্ধান্তে আমরাও কর্মসূচি পালন করেছি। এ কর্মসূচি পালনে কোনো বাধা বা হুমকি ছিল না।’