Thank you for trying Sticky AMP!!

রাজশাহীতে ‘সর্বাত্মক লকডাউনে’ ফাঁকা পথঘাট

রাজশাহীতে লকডাউন চলাকালে শহীদ এ এইচ এম কামারুজ্জামান চত্বর এলাকা। ছবিটি বুধবার তোলা

সরকার ঘোষিত ‘সর্বাত্মক লকডাউনে’ কঠোর অবস্থানে রয়েছে রাজশাহীর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এর ফলে রাজশাহীর পথঘাট ফাঁকা অবস্থায় আছে। কাঁচাবাজার ও কিছু নিত্যপ্রয়োজনীয় দোকানপাট বাদে সবকিছু বন্ধ আছে। শহরের রাস্তায় নেই মানুষের আনাগোনা। রাস্তায় কিছু অটোরিকশা, মোটরসাইকেল ও জরুরি সেবার গাড়ি চলাচল বাদে আর কোনো গণপরিবহন নেই।

আজ বুধবার ভোর থেকে পুলিশের তৎপরতায় রাজশাহী নগরের গুরুত্বপূর্ণ স্থান, সড়ক ও মোড় ফাঁকা রয়েছে। নগরের শহীদ এ এইচ এম কামারুজ্জামান চত্বর, শিরোইল বাস টার্মিনাল, রেলওয়ে স্টেশন, নিউমার্কেট, সাহেববাজার জিরো পয়েন্টসহ কয়েকটি এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, রাস্তাঘাট একেবারেই ফাঁকা। ওষুধ ও মুদিদোকান ছাড়া সব ধরনের দোকানপাট বন্ধ দেখা গেছে।
নগরীর প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে পুলিশ সদস্যরা অবস্থান নিয়েছেন। কেউ রাস্তায় বের হলে পড়তে হচ্ছে পুলিশের জেরার মুখে। জরুরি কাজ থাকলে পুলিশ সদস্যরা তাঁকে দ্রুত কাজ শেষ করে ঘরে ফেরার নির্দেশনা দিচ্ছেন। এ ছাড়া শহরের তিন দিকের প্রবেশমুখ আমচত্বর, কাশিয়াডাঙ্গা ও কাটাখালী এলাকায় পুলিশ সদস্যরা কঠোরভাবে দায়িত্ব পালন করছেন। এ ছাড়া রাজশাহী জেলার প্রবেশমুখগুলোতেও তৎপর রয়েছে পুলিশ। বাইরের কোনো গাড়ি ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। কেবল জরুরি সেবা দেওয়া প্রতিষ্ঠানের পরিবহন চলাচল করতে পারছে।
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার মো. গোলাম রুহুল কুদ্দুস বলেন, রাজশাহী নগরের প্রবেশমুখে চারটিসহ নগরের অভ্যন্তরে ২৫ থেকে ৩০টি চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। কেউ অপ্রয়োজনে বাইরে বের হলেই তাঁদের জেরা করা হচ্ছে। তবে মুভমেন্ট পাস নিয়ে বের হলে তাঁদের সে অনুযায়ী বাইরে থাকতে দেওয়া হচ্ছে।
রাজশাহী জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইফতে খায়ের আলম বলেন, রাজশাহী জেলার বিভিন্ন সীমান্তে পাঁচটি চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। উপজেলা পর্যায়ে বাজারঘাট নিয়ন্ত্রণ করছে পুলিশ। এ ছাড়া মানুষকে সচেতন করার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে।
রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু আসলাম বলেন, আজকে সরকারি সিদ্ধান্ত মানুষ পালন করেছে। ছোটখাট দু-একটা জরিমানা হয়েছে দুপুর পর্যন্ত। সার্বিক পরিস্থিতি ভালো।