Thank you for trying Sticky AMP!!

রোহিঙ্গাদের নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার ১১টি বাস নোয়াখালীর ভাসানচরের দিকে রওনা দিয়েছে

রোহিঙ্গাদের নিয়ে ১১ বাস যাচ্ছে ভাসানচরের দিকে

কক্সবাজারের উখিয়া কলেজ মাঠ থেকে আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে রোহিঙ্গাদের নিয়ে ১১টি বাস নোয়াখালীর ভাসানচরের দিকে রওনা দিয়েছে। মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নৃশংসতা থেকে প্রাণে বাঁচতে প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গার বাংলাদেশে আসার পর পেরিয়ে গেছে ৩৯ মাস। এর মাঝে দুই দফা প্রত্যাবাসনের দিনক্ষণ চূড়ান্ত হলেও রোহিঙ্গাদের রাখাইনে পাঠানোর চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। এমন এক পরিস্থিতিতে কক্সবাজারের শিবিরের ওপর চাপ কমানোর অংশ হিসেবে রোহিঙ্গাদের প্রথম দলকে ভাসানচরের দিকে পাঠানো হলো।

রোহিঙ্গাদের নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার ১১টি বাস নোয়াখালীর ভাসানচরের দিকে রওনা দিয়েছে

কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়ার শিবিরে এখন বসবাস করছে মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত প্রায় সাড়ে ১১ লাখ রোহিঙ্গা।
জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অনেকের বিরোধিতার পরও রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তরের জন্য ২ হাজার ৩১২ কোটি টাকা ব্যয়ে আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে সরকার। জোয়ার ও জলোচ্ছ্বাস থেকে সেখানকার ৪০ বর্গকিলোমিটার এলাকা রক্ষা করতে ১৩ কিলোমিটার বাঁধ দেওয়া হয়েছে। সেখানে এক লাখ রোহিঙ্গার বসবাসের উপযোগী ১২০টি গুচ্ছগ্রামের অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে।

রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে পাঠানোর বিষয়ে সরকার যখন প্রস্তুতি নিচ্ছে, ঠিক এমন সময়ে গতকাল ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক দপ্তর একটি বিবৃতি দিয়েছে।

সংস্থাটি বলছে, ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরের প্রক্রিয়ায় তাদের যুক্ত করা হয়নি। রোহিঙ্গাদের সেখানে স্থানান্তরের সার্বিক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে জাতিসংঘের কাছে পর্যাপ্ত তথ্যও নেই। রোহিঙ্গা শরণার্থীরা যেন প্রাসঙ্গিক, নির্ভুল এবং হালনাগাদ তথ্যের ওপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত নিতে পারে, সে বিষয়ে জোর দিয়েছে জাতিসংঘ।

ভাসানচরের দিকে যাত্রার আগে রোহিঙ্গারা

ভাসানচর নিয়ে শুরু থেকেই জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বিরোধিতা থাকায় সরেজমিনে পরিস্থিতি দেখতে রোহিঙ্গাদের একটি প্রতিনিধিদলকে গত সেপ্টেম্বরে সেখানে পাঠানো হয়। এর উদ্দেশ্য ছিল সরেজমিনে ভাসানচর ঘুরে এসে কক্সবাজারে থাকা রোহিঙ্গাদের সেখানকার পরিবেশ-পরিস্থিতি জানাবেন প্রতিনিধিদলের সদস্যরা। প্রাথমিকভাবে প্রতিনিধিদলের সদস্যরা গণমাধ্যমকে জানান, সাগরের বুকে জেগে ওঠা ভাসানচরের আশ্রয়শিবির ভালো লেগেছে তাঁদের। সেখানকার অবকাঠামো কক্সবাজারের চেয়ে যথেষ্ট ভালো। সেখানে নির্মাণ করা হয়েছে খাদ্যগুদাম, সাইক্লোন শেল্টার, মসজিদ, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, স্কুল, খেলার মাঠ, বাজার, কবরস্থান ও মাছ চাষের পুকুর। রয়েছে বিভিন্ন ধরনের শাকসবজির বাগান। পাশাপাশি সাগরের তীরে কেওড়াবাগান ও টেকসই বেড়িবাঁধ আছে।

এদিকে কক্সবাজারের শিবির থেকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ভাসানচরে স্থানান্তর অবিলম্বে বন্ধ করতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে দুটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন। নিউইয়র্কভিত্তিক হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) ও লন্ডনভিত্তিক অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সরকারের প্রতি এ আহ্বান জানায়। দুটি সংগঠনই তাদের ওয়েবসাইটে এ-সংক্রান্ত বিবৃতি প্রকাশ করেছে।