
করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলাকে লকডাউন (অবরুদ্ধ) ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তৌছিফ আহমেদ এ বিষয়ে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেন। প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইউএনও।
ইউএনও কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল রাত ১০টা থেকে এই লকডাউন কার্যকর হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে। এই সময়ের মধ্যে অন্য উপজেলার কেউ লোহাগাড়ায় প্রবেশ করতে পারবে না এবং লোহাগাড়া থেকেও কেউ বের হতে পারবে না। এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় যাতায়াত কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে। উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানদের তাঁদের এলাকায় প্রবেশপথ বন্ধ করে দিতে বলা হয়েছে। তবে জরুরি পরিষেবা বিদ্যুৎ, ফায়ার সার্ভিস, ওষুধ, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য, খাদ্য, কৃষিপণ্য, সার, জ্বালানি তেল, সংবাদপত্র বহনকারী যানবাহন ও সাংবাদিকেরা এই সিদ্ধান্তের আওতামুক্ত থাকবেন।
ইউএনওর জারি করা ওই গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এলাকার লোকজনকে অবশ্যই ঘরে অবস্থান করতে হবে। অতীব জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে কেউ বের হতে পারবে না।
লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, জ্বর, সর্দি, কাশি ও গলাব্যথা নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসা বা মুঠোফোনে চিকিৎসাসেবা পেতে চেষ্টা করেছেন—এমন ৩৪ জনের নমুনা সংগ্রহ করে চট্টগ্রামের ফৌজদারহাটে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেজ (বিআইটিআইডি) হাসপাতালের ল্যাবে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। গত মঙ্গলবার পর্যন্ত ২৬ জনের পরীক্ষার ফল নেগেটিভ এসেছে।
এ বিষয়ে লোহাগাড়ার ইউএনও তৌছিফ আহমেদ মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, চট্টগ্রাম মহানগর ও পটিয়া উপজেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। তা ছাড়া লোহাগাড়ার পাশের উপজেলা সাতকানিয়ায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়েছে। এই পরিস্থিতিতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে লোহাগাড়া উপজেলায় লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। যারা এই আইন অমান্য করবে, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।