Thank you for trying Sticky AMP!!

সিলেটের বিভাগী কমিশনার ও পুলিশের ডিআইজিসহ ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তারা শুক্রবার দুপুরে নোয়াগাঁও যান। তাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর সঙ্গে কথা বলেন

শাল্লায় হামলার মামলায় গ্রেপ্তার ২২

সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামে সংখ্যালঘুদের বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের মামলায় ২২ জনকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে পুলিশ। এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে নোয়াগাঁও গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত এক ব্যক্তি ৭০০ জনের বিরুদ্ধে এই মামলা করেন।

সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান শুক্রবার প্রথম আলোকে বলেন, ওই মামলায় বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে ২২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সিলেটের বিভাগী কমিশনার মো. মশিউর রহমান ও পুলিশের ডিআইজি মফিজ উদ্দীন আহমেদসহ ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তারা শুক্রবার দুপুরে নোয়াগাঁও যান। তাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর সঙ্গে কথা বলেন। ক্ষতিগ্রস্ত ৯০টি পরিবারকে নগদ টাকা ও চাল দেওয়া হয়েছে।

পুলিশ, জনপ্রতিনিধি ও ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার দিরাই উপজেলা শহরে আয়োজিত এক সমাবেশে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা জুনাইদ বাবুনগরী ও মাওলানা মামুনুল হক বক্তব্য দেন। পরে মামুনুল হককে নিয়ে ঝুমন দাস (২৮) নামের নোয়াগাঁও গ্রামের এক যুবক ফেসবুকে আপত্তিকর পোস্ট দেন অভিযোগে উত্তেজনা দেখা দেয়। মঙ্গলবার রাতে নোয়াগাঁও গ্রামের লোকজন ঝুমনকে পুলিশে দেন।

সিলেটের বিভাগী কমিশনার ও পুলিশের ডিআইজিসহ ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তারা শুক্রবার দুপুরে নোয়াগাঁওয়ে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোর বাড়িতে যান

পরে বুধবার সকালে আশপাশের শাল্লা উপজেলার কাশিপুর, দিরাই উপজেলার নাসনি, সন্তোষপুর ও চন্দ্রপুর গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ লাটিসোঁটা নিয়ে নোয়াগাঁও গ্রামের পাশের ধারাইন নদীর তীরে গিয়ে অবস্থান নেয়। পরে সেখান থেকে শতাধিক লোক লাঠিসোঁটা নিয়ে নোয়াগাঁও গ্রামে গিয়ে মানুষের বাড়িঘর ও মন্দিরে হামলা চালায়।

সুনামগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. সেলিম নেওয়াজ জানিয়েছেন, আটক ঝুমন দাসকে বুধবার ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে পুলিশ আদালতে হাজির করে। পরে আদালতের আদেশে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।

Also Read: দোষীদের কঠোর শাস্তি হবে, যাতে কেউ এমন করার সাহস না পায়