রাজশাহী জেলা ট্রাক, ট্যাংক–লরি ও কাভার্ড ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগে সংঘর্ষ শুরু হলে পুলিশ লাঠিপেটা করে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। শনিবার রাজশাহী নগরের শ্রীরামপুর এলাকায়
রাজশাহী জেলা ট্রাক, ট্যাংক–লরি ও কাভার্ড ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগে সংঘর্ষ শুরু হলে পুলিশ লাঠিপেটা করে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। শনিবার রাজশাহী নগরের শ্রীরামপুর এলাকায়

শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ, বাস বন্ধের চেষ্টা

রাজশাহী জেলা ট্রাক, ট্যাংক–লরি ও কাভার্ড ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচনে ভোট কারচুপির অভিযোগ উঠেছে। এর জেরে নির্বাচন স্থগিত হয়ে যায়। এই ক্ষোভে বাস বন্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা করেন ট্রাকশ্রমিকেরা। তাঁরা শনিবার বিকেল পাঁচটা থেকে সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত রাজশাহী থেকে বাস ছাড়তে বাধা দেন।

জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে ট্রাক, ট্যাংক–লরি ও কাভার্ড ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের ভোট গ্রহণের আয়োজন করা হয়েছিল। নির্বাচনে কোষাধ্যক্ষ প্রার্থী ছিলেন পুলক রহমান। তিনি বলেন, নির্বাচনে কোনো প্যানেল ছিল না। প্রার্থীরা একা একা ভোট করছিলেন। দুই হাজারের বেশি ভোটার ভোট দিতে এসেছিলেন। একপর্যায়ে শ্রমিকেরা অভিযোগ তোলেন, ভোটে কারচুপি হচ্ছে। এ নিয়ে উত্তেজনা দেখা দেয়। শ্রমিকদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে। তখন পুলিশ ধাওয়া দিয়ে সবাইকে সরিয়ে দেয়। এরপর ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়।

নগরের রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম বলেন, পরিস্থিতি শান্ত করতে শ্রমিকদের সরিয়ে দেওয়া হয়। ভোট গ্রহণ স্থগিত হয়ে গেছে।

জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ট্রাক সমিতির অনেক শ্রমিক বাস চালান, আবার বাসের অনেক শ্রমিক ট্রাকে আছেন। ফলে নির্বাচন নিয়ে একটা অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে তাঁরা বাস টার্মিনালে এসে ১০-১৫ মিনিট বাস বন্ধ করে রাখেন। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক।