
রাজশাহীতে এক ব্যক্তির পায়ের স্যান্ডেলের ভেতর থেকে ১২টি সোনার বার উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার তিনজনকে আজ বৃহস্পতিবার সকালে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
কারাগারে পাঠানো তিনজন হলেন ঢাকার ধামরাই থানার চৌহাট গ্রামের মো. আলাল (৪৫), চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার নয়নচুকা কামারপাড়া গ্রামের সুব্রত কর্মকার (২৭) ও একই উপজেলার বারঘড়িয়া হালদারপাড়া গ্রামের মিলন হালদার (২৮)।
বিজিবি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ঢাকা থেকে স্বর্ণের বার নিয়ে এক ব্যক্তি চাঁপাইনবাবগঞ্জের উদ্দেশে যাচ্ছিলেন—এমন খবর পেয়ে বুধবার বিকেলে রাজশাহী নগরের বেলপুকুর চেকপোস্টে দেশ ট্রাভেলসের একটি গাড়ি থেকে মো. আলালকে আটক করা হয়। এরপর তল্লাশি চালিয়ে আলালের পায়ের চামড়ার স্যান্ডেলের ভেতর বিশেষ কায়দায় রাখা ১২টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়। বারগুলোর ওজন ১ কেজি ৩৯৯.৬৮ গ্রাম। এর আনুমানিক বাজারমূল্য ৮১ লাখ ৬০ হাজার টাকা। পরে আলালের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এই চক্রের আরও দুজন সুব্রত কর্মকার ও মিলন হালদারকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে আটক করা হয়েছে। তিনজনের কাছ থেকে একটি মোটরসাইকেল, ছয়টি মোবাইল ফোন, একটি রুপার চেইন এবং নগদ ১১ হাজার ৭৯৫ টাকা জব্দ করা হয়েছে। মামলার পর তাঁদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
বিজিবির রাজশাহীর ১ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফেরদৌস জিয়াউদ্দিন মাহমুদ বলেন, সোনার বারের বৈধ কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি তাঁরা। তাই সরকারি শুল্ক ফাঁকি দিয়ে সোনা চোরাচালানের অভিযোগে তাঁদের বিরুদ্ধে বিজিবি বিশেষ ক্ষমতা আইনে বাদী হয়ে মামলা করেছে। আর স্বর্ণের বারগুলো রাজশাহী জেলা প্রশাসকের ট্রেজারি শাখায় জমা দেওয়া হয়েছে।
নগরের বেলপুকুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন বলেন, স্বর্ণ চোরাচালান মামলায় আসামিদের আজ সকালে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আদালতের কাছে তাঁদের বিষয়ে সাত দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে।