Thank you for trying Sticky AMP!!

হবিগঞ্জে বাসের চাপায় অটোরিকশার আট যাত্রী নিহত

দুর্ঘটনার পর খাদে পড়ে যাওয়া বাসটি ঘিরে স্থানীয়দের ভিড়। আজ সোমবার বিকেলে নবীগঞ্জ উপজেলার সাতাইহাল এলাকায়

ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় একটি বিআরটিসি বাসের চাপায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার আট যাত্রী প্রাণ হারিয়েছেন। একই ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন। আজ সোমবার বিকেল পাঁচটায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার মুরাউরা গ্রামের আবু তাহের স্ত্রী সামিরুন বেগম (২৮), তার দুই বছরের মেয়ে মারিয়া আক্তার, আবু তাহেরের ভাই আনু মিয়ার স্ত্রী হালিমা বেগম (২৫), সাতাইহাল গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে অন্তর মিয়া (২২), একই গ্রামের লিজা আক্তার (১৯), লতিবপুর গ্রামের কিতাব আলী (৩০) ও লিটন মিয়া (১৮) এবং অজ্ঞাত পরিচয়ের পুরুষ (২৬)। তাঁরা সবাই অটো রিকশার যাত্রী ছিলেন।

এদিকে দুর্ঘটনার পর ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে যান চলাচল প্রায় দেড় ঘণ্টা বন্ধ ছিল। সন্ধ্যা ৭ টার পর এ সড়কে যানচলাচল স্বাভাবিক হয়।

শেরপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এরশাদুল হক ভূঁইয়া জানান, ঢাকা থেকে সিলেটগামী বিআরটিসির একটি বাস মহাসড়কের নবীগঞ্জ উপজেলার সাতাইহাল নামক স্থানে গিয়ে পেছন থেকে একসঙ্গে দুটি সিএনজিচালিত অটোরিকশাকে চাপা দেয়। এর মধ্যে একটি অটোরিকশা বাসের নিচে দুমড়েমুচড়ে যায়। বাসটিও নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশের খাদে পড়ে যায়। এ ঘটনায় দুই অটোরিকশার ছয়জন নিহত হন। অটোরিকশা দুটি স্থানীয় পানিউমদা থেকে আউশকান্দি বাজারে যাচ্ছিল।

শেরপুর হাইওয়ে থানা–পুলিশ সন্ধ্যা ছয়টা নাগাদ অটোরিকশার ছয় যাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করে। তাঁদের মধ্যে দুজন নারী ও একজন শিশু রয়েছেন। নিহত আট জনের লাশ সোমবার রাতেই প্রশাসনের অনুমোদন নিয়ে ময়নাতদন্ত ছাড়াই পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বাসটি জব্ধ করা হয়েছে।