পিটুনি
পিটুনি

ভোলায় আত্মগোপন থেকে বাড়ি ফেরার পথে পিটুনি, পরে মৃত্যু

ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলায় পিটুনি ও মারধরে আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক শ্রমিক মারা গেছেন। গতকাল রোববার বিকেল পৌনে ৪টার দিকে ভোলার ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। পরিবারের অভিযোগ, আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকায় তাঁকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।

নিহত শ্রমিকের নাম মো. সেলিম (৪৫)। তিনি উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের ঘোষেরহাওলা গ্রামের বাসিন্দা। গত শনিবার রাতে ঘোষেরহাওলা গ্রামে তাঁকে পিটিয়ে ফেলে রাখে দুর্বৃত্তরা।

পরিবারের দাবি, গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর সেলিম আত্মগোপনে যান। এরপর শনিবার রাতে তিনি গ্রামে ফেরেন। একপর্যায়ে চিনতে পেরে স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি সেলিমকে ধরে মারধর করেন।

পরিবারের দাবি, হাত-পায়ে পেরেক ঢুকিয়ে এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে মুমূর্ষু অবস্থায় সেলিমকে রাস্তার পাশে ফেলে রাখা হয়।

সেলিমের স্ত্রী রেখা বলেন, তাঁর স্বামী আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন বলে দীর্ঘদিন ধরে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। শনিবার রাতে সেলিম মুঠোফোনে জানান, তিনি বাড়ি আসবেন।

রেখার ভাষ্য, তিনি তাঁকে আসতে নিষেধ করেছিলেন। পরে রাতে শুনতে পান, বিলের দিক থেকে তাঁকে (সেলিম) ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। লোকজনের মুখে শুনতে পান, সেলিমকে পিটিয়ে হাড়গোড় ভেঙে ফেলা হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, গতকাল সকালে ঘোষেরহাওলা বাজারের কাছে একটি দোকানের পাশে সেলিমকে মুমূর্ষু অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন তাঁরা। পরে সেলিমের পরিবারের সদস্যরা ঘটনাস্থলে যান। সেখান থেকে তাঁরা সেলিমকে উদ্ধার করে প্রথমে তজুমদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে ভোলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান।

এ বিষয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ বা মামলা পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তজুমদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মহব্বত খান। তিনি বলেন, ঘটনাটির তদন্ত চলছে।