উপজেলা জামায়াতের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন উপজেলা কমিটির আমির আবুল ফজল। গতকাল শনিবার
উপজেলা জামায়াতের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন উপজেলা কমিটির আমির আবুল ফজল। গতকাল শনিবার

ফরিদপুরে জামায়াতের যোগদান অনুষ্ঠান হয়নি, বিএনপির বিরুদ্ধে বাধা দেওয়ার অভিযোগ

ফরিদপুরের সালথায় বিএনপির নেতা-কর্মীদের বাধার কারণে জামায়াতে ইসলামীর পূর্বঘোষিত যোগদান অনুষ্ঠান ও নির্বাচনী সভা পণ্ড হয়ে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলা জামায়াতের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন সংগঠনের উপজেলা কমিটির আমির আবুল ফজল।

আবুল ফজল অভিযোগ করে বলেন, স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে শনিবার বেলা তিনটায় সালথা উপজেলার রামকান্তপুর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের নিধুপট্টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদান অনুষ্ঠান ও নির্বাচনী সভার আয়োজন করা হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ফরিদপুর-২ আসনে জামায়াতের মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থীর উপস্থিত থাকার কথা ছিল।

আবুল ফজল বলেন, ‘ওই অনুষ্ঠানে স্থানীয় কিছু লোক জামায়াতে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু একই সময় আমাদের শান্তিপূর্ণ অনুষ্ঠানস্থলে স্থানীয় বিএনপি অন্যায়ভাবে সভা আহ্বান করে। এমনকি আমাদের অনুষ্ঠানস্থলের চেয়ারও ভাঙচুর করা হয়। যাঁরা জামায়াতে যোগ দিতে চেয়েছিলেন, তাঁদের হুমকি দেওয়া হয়। স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মীরা তিন-চারটি দলীয় ব্যানার তৈরি করেছেন। আমরা যেখানেই প্রোগ্রাম করব, সেখানেই বাধা দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের। তবে আমরা ঝামেলা পছন্দ করি না। তাই বিষয়টি ওসি ও ইউএনওকে জানাই। পরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে উভয় দলকে সভা-সমাবেশ না করার পরামর্শ দেওয়া হয়। আমরা তাঁদের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছি।’

এক প্রশ্নের জবাবে উপজেলা আমির বলেন, ‘জামায়াতের সভা-সমাবেশে এত দিন কোনো সমস্যা হয়নি। তবে আজকে আমাদের প্রোগ্রামে সরাসরি বাধা দেওয়া হয়েছে। প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে আমরা আবারও আগের নির্ধারিত জায়গায় সমাবেশ করব।’
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিধুপট্টি গ্রামের ৫০ থেকে ৬০ জন বিএনপি কর্মীর জামায়াতে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। এ জন্য জামায়াত অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। বিএনপির নেতারা একই সময় ও স্থানে পাল্টা মতবিনিময় সভার আয়োজনের ঘোষণা দেন। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান তালুকদারের।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা বিএনপির সদস্যসচিব এ কে কিবরিয়া বলেন, ‘জামায়াতের কোনো দলীয়, প্রকাশ্য কিংবা ঘরোয়া পর্যায়ের কর্মসূচিতে বিএনপি বাধা দেয়নি। স্থানীয় পর্যায়ে বিএনপি কী আয়োজন করেছিল, তা আমার জানা নেই। সালথায় বিএনপির নেতা-কর্মীদের কারণে জামায়াতের অনুষ্ঠান হতে পারেনি—জামায়াতের পক্ষ থেকে করা এ দাবি মনগড়া।’

সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আতাউর রহমান বলেন, জামায়াত আগে নিধুপট্টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে কর্মসূচি আহ্বান করে। তবে গতকাল বিএনপি একই স্থানে কর্মসূচি দেয়। পরে এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে উভয় পক্ষের কোনো কর্মসূচিই করতে দেওয়া হয়নি।