আ.লীগ নেতার বিরুদ্ধে প্রধান শিক্ষককে কিলঘুষি মারার অভিযোগ

কুষ্টিয়া জেলার মানচিত্র
কুষ্টিয়া জেলার মানচিত্র

কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার কুর্শা কে এন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরু নবীকে এক আওয়ামী লীগ নেতা কিলঘুষি ও চড়থাপ্পড় মেরেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিদ্যালয়টির দপ্তর কক্ষের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতা হলেন মহন জোয়ার্দ্দার। তিনি কুর্শা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরু নবী বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা মহন জোয়ার্দ্দার দুপুরে কয়েকজন লোক পাঠিয়ে একটি প্রত্যয়নপত্রে স্বাক্ষর করতে বলেন। কিন্তু প্রত্যায়নপত্রের নাম ও জন্মতারিখের সঙ্গে স্কুল রেজিস্ট্রারে থাকা তথ্য মিলছিল না। এ জন্য তিনি স্বাক্ষর করতে অস্বীকৃতি জানান। খাতায় তাঁর নাম রয়েছে আল-আমীন, কিন্তু তিনি মহন জোয়ার্দ্দার নামে প্রত্যয়নপত্র নিতে চান। এ নিয়ে কথা-কাটাকাটি হয়। এরপর মহন জোয়ার্দ্দার আরও লোকজন নিয়ে ওই বিদ্যালয়ে আসেন এবং প্রত্যয়নপত্র দিতে চাপ দিতে থাকেন। একপর্যায়ে রেগে গিয়ে তিনি তাঁকে চড়থাপ্পড় ও কিলঘুষি মারেন। এতে তাঁর মাথা ফুলে গেছে। এ সময় সই দেওয়ার জন্য চাপ আরও বাড়াতে থাকেন। তখন মরে গেলেও সই করবেন না জানিয়ে তিনি নিজ কক্ষে চলে যান। পরে বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতিকে বিষয়টি জানিয়ে বাড়ি চলে যান।

অভিযোগের বিষয়ে মহন জোয়ার্দ্দার বলেন, ‘আমি ওই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি ছিলাম। পড়াশোনাও করেছি ওই প্রতিষ্ঠানে। এসএসসি পাসের সার্টিফিকেট হারিয়ে যাওয়ায় ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য অষ্টম শ্রেণির পাসের সার্টিফিকেট নিতে গেলে এমন ঘটনা ঘটে।’ তবে প্রধান শিক্ষককে চড়থাপ্পড় মারার অভিযোগ তিনি অস্বীকার করেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক বলেন, প্রধান শিক্ষককে চড়থাপ্পড় মেরে লাঞ্ছিত করা হয়েছে। অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতার তিনি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছেন।

মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশেদুল আলম বলেন, এ বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি শামসুন নাহার বলেন, ঘটনাটি তিনি জেনেছেন। এটি খুবই দুঃখজনক। তিনি বর্তমানে ঢাকায় আছেন। এলাকায় ফিরে বৈঠক করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।