ধর্ষণচেষ্টা
ধর্ষণচেষ্টা

দিনাজপুরে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে ছাত্রদল নেতার নামে মামলা

দিনাজপুরের বিরামপুরে ছাত্রদল নেতা মোহাম্মদ আবদুল্লাহর (৩৫) বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মামলা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে ভুক্তভোগী তরুণীর বাবা বাদী হয়ে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেছেন। এ ঘটনার পর থেকে আবদুল্লাহ  পলাতক রয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

আসামি মোহাম্মদ আবদুল্লাহ উপজেলার হাবিবপুর রামপুরা এলাকার বাদশা মিয়ার ছেলে। তিনি ছাত্রদলের বিরামপুর উপজেলা শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক। ভুক্তভোগী ওই তরুণী (১৮) স্থানীয় একটি কলেজে পড়েন।

মামলার এজাহার ও ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত এক মাস ছাত্রদল নেতা মোহাম্মদ আবদুল্লাহ সনাতন ধর্মাবলম্বী এক তরুণীকে (১৮) কলেজে যাতায়াতের পথে বিভিন্ন সময় প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছেন। সহপাঠীদের সামনে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গিও করতেন তিনি। ছাত্রীর পরিবার এ বিষয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের কাছে মৌখিক অভিযোগ করে। সালিস বৈঠক হলেও এর কোনো সমাধান হয়নি। গতকাল মঙ্গলবার সকালে ওই ছাত্রী কলেজে যাচ্ছিলেন। পথে সকাল ১০টার দিকে বিরামপুর পৌরশহরের আদর্শ হাইস্কুলের সামনে মোহাম্মদ আবদুল্লাহ ছাত্রীকে একা পেয়ে তাঁর পথ রোধ করেন। এ সময় আবদুল্লাহ ওই তরুণীর ঘাড়ে থাকা ব্যাগ ও পরনের কাপড় ধরে টানাহেঁচড়া করেন এবং তাঁকে কুপ্রস্তাব দেন। এতে রাজি না হলে মোহাম্মদ আবদুল্লাহ তাঁকে জড়িয়ে ধরেন। তখন ছাত্রীর চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ছুটে আসেন। এরপর মোহাম্মদ আবদুল্লাহ সেখান থেকে পালিয়ে যান।

এ বিষয়ে বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মমতাজুল হক প্রথম আলোকে বলেন, সনাতন ধর্মাবলম্বী এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মোহাম্মদ আবদুল্লাহ নামের এক ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে গতকাল রাতে থানায় একটি মামলা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। ঘটনার পর থেকে আসামি পলাতক আছেন।

বিরামপুর উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আসাদুজ্জামান নূর প্রথম আলোকে বলেন, ‘উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ আবদুল্লাহর বিরুদ্ধে থানায় কোনো অভিযোগ হয়েছে কি না, তা জানি না। আবদুল্লাহর বিরুদ্ধে অভিযোগটি প্রমাণিত হলে তাঁকে ছাত্রদল থেকে সাংগঠনিকভাবে বহিষ্কার করা হবে।’