
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার নূরজাহানপুর এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় পাঁচজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
পঞ্চগড় থেকে ঢাকাগামী নাবিল পরিবহনের যাত্রীবাহী একটি বাস সড়কের পাশে থেমে থাকা আমবোঝাই একটি মিনি ট্রাককে পেছন থেকে ধাক্কা দিলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এরপর বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সামনে থাকা বালুবোঝাই আরেকটি ট্রাকের পেছনে গিয়ে ধাক্কা দেয়।
সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে এরশাদ আলী (২৫) পঞ্চগড়ের সদর উপজেলার বোয়ালমারি টুনিরহাট এলাকার আবদুল খালেকের ছেলে। তিনি সেনাবাহিনীর সাভার সেনানিবাসে সৈনিক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। অপর নিহত তামান্না আক্তার (২৪) ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার কেকে বাড়ি এলাকার হাশেম আলীর মেয়ে। তিনি ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অর্থনীতি বিভাগের স্নাতক শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। আমিনুল ইসলাম (৪৭) নওগাঁ সদর উপজেলার পার শিকারপুর গ্রামের মৃত আককাস আলীর ছেলে। তিনি নাবিল পরিবহনের সুপারভাইজার ছিলেন। কিবরিয়া ভুঁইয়া (৩৫) সাভারের আমিনবাজার খাশিরদিয়া এলাকার রাশেদ ভুঁইয়ার ছেলে। তিনি নাবিল পরিবহনের মেকানিক ছিলেন। আরিফ ইসলাম (২৫) ঠাকুরগাঁওয়ের ভূল্লী থানার বড় বালিয়া গ্রামের তারিকুল ইসলামের ছেলে।
আহত ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার সাকিব হাসান ও তাঁর স্ত্রী মৃত্তিকা, বালাভির গ্রামের তরিকুল ইসলাম, ইসলামপুরের নাসিমা বেগম, ঘোড়াঘাট উপজেলার মাসুদ রানা, নবাবগঞ্জ উপজেলার গাজীবুর রহমান এবং নোয়াখালীর ফখরুল ইসলাম। তাঁদের মধ্যে কয়েকজন ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, বাকিরা দিনাজপুর ও রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুর্ঘটনায় বাসটির সামনের অংশ দুমড়েমুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই তিনজন নিহত হন। গুরুতর আহত অবস্থায় ৯ জনকে ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসকেরা আরও ২ জনকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাজমুল হক বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার কার্যক্রম চালান।