বাগেরহাটে রিমান্ডে থাকা আসামির হাসপাতালে মৃত্যু

বাগেরহাট জেলার মানচিত্র
বাগেরহাট জেলার মানচিত্র

বাগেরহাটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মোজাফফর (২৬) নামের এক আসামির মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল আটটার দিকে বাগেরহাট জেলা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে তাঁর মৃত্যু হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, চুরির মামলায় গতকাল বৃহস্পতিবার এক দিনের রিমান্ডে মোজাফফরকে বাগেরহাট সদর মডেল থানার আনা হয়। ১৮ সেপ্টেম্বর চুরির অভিযোগে মোজাফফরসহ চারজনকে মারধর করে পুলিশে দেয় সদর উপজেলার রাখালগাছি এলাকার একদল লোক। চিকিৎসকেরা বলছেন, হৃদ্‌রোগে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

মোজাফফর বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার ভাগা এলাকার মো. ওহাবের ছেলে। মরদেহের ময়নাতদন্তের প্রস্তুতি চলছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

থানা-পুলিশ বলছে, ১৮ সেপ্টেম্বর রাখালগাছি এলাকায় বৈদ্যুতিক তার, ট্রান্সফরমারসহ বিভিন্ন যন্ত্রাংশের চোর সন্দেহ মোজাফফরসহ চারজনকে ধরে মারধর করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন স্থানীয় লোকজন। পরে ওই দিনই তাঁদের চুরির মামলায় আদালতে পাঠানো হয়। আদালত তাঁদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

বাগেরহাট সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহামুদ-উল-হাসান বলেন, পুলিশের আবেদনে গতকাল আসামিদের এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। সদর থানায় রিমান্ডে থাকা অবস্থায় আজ সকালে মোজাফফর অসুস্থ হয়ে পড়লে অন্য আসামিরা পুলিশকে জানান। সকাল সাড়ে সাতটার দিকে পুলিশ মোজাফফরকে নিয়ে হাসপাতালে পৌঁছানোর পর জরুরি বিভাগের তাঁর চিকিৎসা শুরু হয়। আটটার দিকে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

হার্ট অ্যাটাকে ওই রোগীর মৃত্যু হয়েছে উল্লেখ করে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক এস কে সোহেলুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘সকালে দায়িত্বরত চিকিৎসক অনুসা রায় তাঁকে রিসিভ করেন। পুলিশের সহায়তায় হেঁটে তিনি হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ঢোকেন। তবে তখন ইসিজি করে দেখা যায় অবস্থা বেশ ক্রিটিক্যাল। তাই তাৎক্ষণিক তাঁকে রেফার্ড করা হয়। কিন্তু তাঁকে নিয়ে খুলনায় যাওয়ার আগেই সকাল আটটার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়।’

আজ বেলা একটা পর্যন্ত হাসপাতালে অবস্থান করেও মোজাফফরের কোনো স্বজনকে পাওয়া যায়নি।

বাগেরহাটের পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান বলেন, রিমান্ডের আসামি মোজাফফরের নামে চারটি মামলা আছে। সকালে অসুস্থ হয়ে পড়লে পুলিশ সদস্যরা তাঁকে হাসপাতালে নেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এসেছেন। সুরতহালসহ প্রয়োজনীয় আইনগত প্রক্রিয়া শেষে তাঁর ময়নাতদন্তের পর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।