
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শহীদ শরিফ ওসমান হাদি হত্যার বিচারের দাবিতে রংপুর ও কুষ্টিয়ায় পৃথকভাবে অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়েছে। আজ শনিবার দুপুরে রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ইনকিলাব মঞ্চের আয়োজনে এবং কুষ্টিয়ায় ছাত্র–জনতার ব্যানারে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়।
আজ শনিবার বেলা দুইটার দিকে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে শহীদ আবু সাঈদ চত্বরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন ইনকিলাব মঞ্চ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় ছাত্রশক্তির নেতা–কর্মীরা। বক্তারা রাজধানীর শাহবাগে ইনকিলাব মঞ্চের কর্মসূচির সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেন।
অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন জাতীয় ছাত্রশক্তির রংপুর মহানগর কমিটির আহ্বায়ক ইমতিয়াজ আহম্মদ, সদস্যসচিব হাজিম উল হক, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মহানগর কমিটির সদস্যসচিব রহমত আলী, সাবেক মুখপাত্র নাহিদ হাসান খন্দকার, ইনকিলাব মঞ্চের রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক জাহিদ হাসান প্রমুখ।
জাতীয় ছাত্রশক্তির রংপুর মহানগর কমিটির আহ্বায়ক ইমতিয়াজ আহম্মদ বলেন, ‘১৫ দিন আগে ভারতের আগ্রাসনবিরোধী আন্দোলনের নেতা শহীদ ওসমান হাদিকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে প্রকাশ্য দিবালোকে। খুনের ঘটনায় যারা সরাসরি সম্পৃক্ত ছিল, এখন পর্যন্ত তাদের কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি অন্তর্বর্তী সরকার। এই সরকার একপ্রকার বিষয়টি ভুলে যেতে বসেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল বিকেল থেকে ইনকিলাব মঞ্চ শাহবাগে অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। আমরা ওই কর্মসূচির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করছি।’
অবস্থান কর্মসূচিতে থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়, শহীদ ওসমান হাদি হত্যার বিচার না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি অব্যাহত রাখা হবে। আজ রাতে আগামীকাল রোববারের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে উল্লেখ করে বিকেল পাঁচটার দিকে আজকের কর্মসূচি সমাপ্ত করেন আন্দোলনকারীরা।
শনিবার বেলা আড়াইটার দিকে শহীদ শরিফ ওসমান হাদি হত্যার বিচারের দাবিতে কুষ্টিয়ায় মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন ছাত্র-জনতা। শহীদ আবরার ফাহাদ স্টেডিয়াম এলাকা থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে মজমপুর ট্রাফিক মোড়ে জড়ো হয়। সেখানে কুষ্টিয়া–ঈশ্বরদী মহাসড়কে বসে প্রায় দেড় ঘণ্টা অবস্থান করে ছাত্র-জনতা। এতে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ ও কুষ্টিয়া-ঈশ্বরদী মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যানজটের সৃষ্টি হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এ সময় বিক্ষোভকারীরা ভারতবিরোধী ও আওয়ামী লীগবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দেন এবং ওসমান হাদি হত্যায় জড়িত ব্যক্তিদের কঠোর শাস্তি দাবি করেন। বিক্ষোভকারীরা জানান, এই হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনাকারী ও হত্যাকারীদের বিচার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।