শেখ হাসিনার মামলার রায়ের সরাসরি সম্প্রচার প্রজেক্টরের মাধ্যমে দেখানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে চুয়েটে। আজ বেলা একটায় তোলা
শেখ হাসিনার মামলার রায়ের সরাসরি সম্প্রচার প্রজেক্টরের মাধ্যমে দেখানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে চুয়েটে। আজ বেলা একটায় তোলা

চুয়েটে বড় পর্দায় শেখ হাসিনার মামলার রায় সম্প্রচার

বড় একটি টেবিলে রাখা হয়েছে একটি ল্যাপটপ, প্রজেক্টর ও সাউন্ডবক্স। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে উৎসুক জনতা দাঁড়িয়ে আছে টেবিলের পাশে। সামনে থাকা একটি বড় পর্দায় আটকে আছে সবার দৃষ্টি। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে করা মামলার রায় সরাসরি দেখানো হচ্ছে সেই বড় পর্দায়।

আজ সোমবার বেলা একটার দিকে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) গিয়ে দেখা যায় এ চিত্র। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা চত্বর এলাকার ১ নম্বর ক্যানটিনের সামনে এভাবেই প্রজেক্টরের মাধ্যমে শেখ হাসিনার মামলার রায়ের সরাসরি সম্প্রচার দেখানোর ব্যবস্থা করা হয়।

চুয়েটের কিছু শিক্ষার্থীর আয়োজনে বড় পর্দায় রায় দেখানোর এই ব্যবস্থা করা হয়েছে। স্বাধীনতা চত্বর এলাকায় বড় পর্দায় রায় দেখার সময় কথা হয় চুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ইফতেখার মাহমুদের সঙ্গে। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদদের পরিবারের পাশাপাশি পুরো দেশের মানুষ রায় কী হয়, তা দেখার অপেক্ষায়। চুয়েট শিক্ষার্থীরাও একইভাবে এই রায়ের অপেক্ষায় রয়েছেন।’

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে করা মামলার রায় আজ ঘোষণা করা হচ্ছে। বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ মামলার রায় ঘোষণা করছেন। এই ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী। শেখ হাসিনার পাশাপাশি এ মামলার অপর দুই আসামি হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ও পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। এর মধ্যে সাবেক আইজিপি মামুন ‘অ্যাপ্রুভার’ (রাজসাক্ষী নামে পরিচিত) হিসেবে জবানবন্দি দিয়েছেন।