Thank you for trying Sticky AMP!!

গাইবান্ধায় নদ-নদীর পানি আরও বেড়েছে

থেমে থেমে বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে গাইবান্ধায় নদ-নদীর পানি বেড়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার ফজলুপুর এলাকায়

গাইবান্ধায় বিভিন্ন নদ-নদীর পানি আরও বেড়েছে। থেমে থেমে বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে পানি বাড়া অব্যাহত আছে। গতকাল বুধবার দুপুর ১২টা থেকে আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ফুলছড়ির তিস্তামুখ পয়েন্টে ২৩ সেন্টিমিটার, ঘাঘট নদের পানি জেলা শহরের নতুন ব্রিজ পয়েন্টে ১২ সেন্টিমিটার, তিস্তার পানি সুন্দরগঞ্জ পয়েন্টে ১৮ সেন্টিমিটার এবং করতোয়ার পানি গোবিন্দগঞ্জের কাটাখালি পয়েন্টে ৩৩ সেন্টিমিটার বেড়েছে।

নদ-নদীর পানি বাড়ায় সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর, গাইবান্ধা সদর উপজেলার মোল্লার চর ও কামারজানি, ফুলছড়ি উপজেলার এরেন্ডাবাড়ি ও ফজলুপুর ইউনিয়নের চরের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

আজ দুপুরে গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাফিজুল হক মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে পানি বাড়া অব্যাহত আছে। তবে কোনো নদ–নদীর পানিই বিপৎসীমা অতিক্রম করেনি। আজ দুপুর ১২টায় ব্রহ্মপুত্রের পানি ৫৫ সেন্টিমিটার, ঘাঘটের পানি ১১৪ সেন্টিমিটার, তিস্তার পানি ৭৪ সেন্টিমিটার ও করতোয়ার পানি ৪৯০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।

এদিকে পানি বাড়ার কারণে ব্রহ্মপুত্র ও তিস্তার পাড়ে ভাঙন শুরু হয়েছে। ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙনে গাইবান্ধা সদর উপজেলার কামারজানি ইউনিয়নের খারজানি ও কুন্দেরপাড়া গ্রাম ভেঙে যাচ্ছে। সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের হরিপুর খেয়াঘাটের কাছেও ভাঙন ধরেছে। ভাঙন রোধে ইউনিয়নের কিছু এলাকায় নদীর তীরে জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে বলে জানিয়েছে পাউবো।