Thank you for trying Sticky AMP!!

পিস্তল হাতে প্রতিপক্ষকে ধাওয়া দেওয়া মেয়রপুত্র কারাগারে

গ্রেপ্তার কামরুল হাসান

পাবনার ফরিদপুর উপজেলায় পিস্তল নিয়ে প্রতিপক্ষের লোকজনকে ধাওয়া দেওয়া সেই মেয়রপুত্রের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশের পক্ষ থেকে মামলাটি করা হয়েছে। ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ শুক্রবার সকালে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

ওই তরুণের নাম কামরুল হাসান (২৭)। তিনি ফরিদপুর পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. কামরুজ্জামানের ছেলে। পুলিশ বলছে, জব্দ পিস্তলটি কামরুজ্জামানের নামে লাইসেন্স করা।

ফরিদপুর থানা সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার পর পুলিশ পিস্তলটির কাগজপত্র যাচাই–বাছাই করে মালিকানার সত্যতা পেয়েছে। তবে পিস্তলের অবৈধ ব্যবহারের জন্য অস্ত্র আইনে মামলাটি করা হয়েছে। রাতে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ওয়াজেদ আলী বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন।

Also Read: পাবনায় পিস্তল নিয়ে প্রতিপক্ষকে ধাওয়া দিলেন মেয়রপুত্র

ফরিদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, মামলায় কামরুল হাসানকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে শুক্রবার সকালে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

পিস্তলের মালিক অস্ত্র লাইসেন্সের শর্ত ভঙ্গ করেছেন কি না জানতে চাইলে ওসি বলেন, লাইসেন্সধারীর অজান্তেই বাড়ি থেকে পিস্তলটি বের করা হয়েছিল। প্রাথমিক তদন্তে বিষয়টি পরিষ্কার হয়েছে। ফলে এখানে অস্ত্র লাইসেন্সের শর্ত ভঙ্গের বিষয়টি আসেনি।
স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মেয়রপুত্র কামরুল হাসান দীর্ঘদিন মালয়েশিয়ায় ছিলেন। মাস ছয় আগে তিনি দেশে ফিরেছেন। এর পর থেকে এলাকাতেই আছেন।

গত ২৭ ফেব্রুয়ারি উপজেলার পুঙ্গুলী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের একটি সমাবেশ হয়। সমাবেশে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও পৌর মেয়র উপস্থিত ছিলেন। সমাবেশে ইউপি চেয়ারম্যান সাজেদুল ইসলামকে বক্তব্য দিতে দেওয়া হয়নি। বিষয়টি নিয়ে পৌর মেয়র কামরুজ্জামানের সঙ্গে কথা–কাটাকাটি হয় তাঁর। এর পরিপ্রেক্ষিতেই সাজেদুলের ওপর ক্ষিপ্ত হন মেয়রের ছেলে কামরুল হাসান।

প্রত্যক্ষদর্শী ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বেলা ১টার দিকে ইউপি চেয়ারম্যান সাজেদুল উপজেলা সদরে এলে কামরুল হাসান লোকজন নিয়ে তাঁর ওপর চড়াও হন। এ সময় সাজেদুল পালানোর চেষ্টা করলে কামরুল পিস্তল নিয়ে তাঁকে ধাওয়া করেন। একপর্যায়ে সাজেদুলের লোকজন তাঁকে পিস্তলসহ ধরে থানায় খবর দেন। পরে পুলিশ গিয়ে তাঁকে আটক ও পিস্তলটি জব্দ করে।