বিনা মূল্যে বিতরণের ৯ হাজার বই পাচারের চেষ্টার ঘটনায় শেরপুরে মামলা, গ্রেপ্তার ৩

পাচারকালে জব্দ করা মাধ্যমিকের বিনা মূল্যে বিতরণের বই। বৃহস্পতিবার দুপুরে শেরপুর সদর থানা প্রাঙ্গণে
ছবি: প্রথম আলো

মাধ্যমিক পর্যায়ে বিনা মূল্যে বিতরণের প্রায় ৯ হাজার বই বিক্রির উদ্দেশ্যে কুড়িগ্রাম থেকে ঢাকায় পাচারের চেষ্টার ঘটনায় শেরপুর সদর থানায় মামলা হয়েছে। থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মহসীন হাসান বাদী হয়ে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে মামলাটি করেন। এতে তিনজনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা আরও চার-পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী উপজেলার মাহিদুল ইসলাম ও জামাল উদ্দিন এবং শেরপুর সদর উপজেলার নাজিরাগারা গ্রামের আবদুস সামাদের ছেলে সজল মিয়া। এর মধ্যে জামাল উদ্দিন রৌমারী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ের নৈশপ্রহরী ও মাহিদুল একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী। আর সজল মিয়া বই পরিবহনকারী ট্রাকের চালক।

গ্রেপ্তার আসামিদের বিরুদ্ধে পরস্পর যোগসাজশে কালোবাজারে বিক্রির উদ্দেশ্যে সরকারি বই পাচার, অর্থ আত্মসাৎসহ সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অভিযোগ করা হয়েছে।

শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জুবায়দুল আলম আজ শুক্রবার দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা বই পাচারের ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ স্বীকার করেছেন। তাঁদের আদালতে সোপর্দ করার প্রক্রিয়া চলছে। সেই সঙ্গে জব্দ করা বইগুলো আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রকৃত কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হবে। পুলিশ মামলাটি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছে বলে তিনি জানান।

একটি চক্র সরকারি বই বিক্রির উদ্দেশ্যে পাচার করছে, এমন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার ভোরে শেরপুর সদর থানার পুলিশ সদর উপজেলার চরমোচারিয়া ইউনিয়নের ধাতিয়াপাড়া গ্রামে অভিযান চালায়। এ সময় সেখানে একটি বাড়িতে রাখা ট্রাকবোঝাই প্রায় ৯ হাজার মাধ্যমিকের বইসহ পুলিশ ট্রাকটি জব্দ করে এবং পরে সেটি সদর থানায় নিয়ে আসে। ট্রাকটিতে ২০২৫ সালের অষ্টম, নবম ও দশম শ্রেণির বাংলা, ইংরেজি ও গণিত বিষয়ের প্রায় ৯ হাজার বই ছিল। এসব বই কুড়িগ্রামের রৌমারী থেকে ঢাকায় পাচার করা হচ্ছিল।