Thank you for trying Sticky AMP!!

খন্দকার মোশাররফের সাবেক এপিএস ফোয়াদের বিরুদ্ধে সাড়ে ৫ কোটি টাকা পাচারের মামলা

এ এইচ এম ফোয়াদ

সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য খন্দকার মোশাররফের সাবেক সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) এ এইচ এম ফোয়াদের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগে মামলা হয়েছে।

গতকাল বুধবার রাতে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় মামলাটি করেন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) উপপরিদর্শক বিচিত্রা রানী বিশ্বাস। মামলার বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ জলিল।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, এ এইচ এম ফোয়াদ ২০১৫ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত স্থানীয় সরকারমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের ছত্রছায়ায় থেকে ফরিদপুরের সাজ্জাদ হোসেন বরকত এবং ইমতিয়াজ হাসান রুবেলের সহায়তায় হেলমেট বাহিনী গঠন করেন। এই বাহিনী দিয়ে এলজিইডি, স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর, গণপূর্ত বিভাগ, বিএডিসি, সড়ক বিভাগসহ বিভিন্ন সরকারি কার্যালয়ের দরপত্র নিয়ন্ত্রণ করতেন। এ ছাড়া বিভিন্ন চাকরিতে নিয়োগে মন্ত্রীর সুপারিশ করিয়ে দেওয়ার কথা বলে অবৈধভাবে বিশাল সম্পত্তির মালিক হয়েছেন।

Also Read: আ.লীগের উপদেষ্টা খন্দকার মোশাররফের এপিএস ফুয়াদ গ্রেপ্তার

ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ জলিল বলেন, ফোয়াদের বিরুদ্ধে ৫ কোটি ৪৪ লক্ষ ৯৫ হাজার ৫৮৬ টাকা পাচারের অভিযোগে মামলা হয়েছে। সিআইডির করা মামলাটির তদন্তও করবে সিআইডি।

এ এইচ এম ফোয়াদ (৫২) ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার বিলনালিয়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ছিলেন। তবে পরে তাঁকে ওই পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। ২০২১ সালের ১২ অক্টোবর রাজধানীর বসুন্ধরা এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন তাঁকে ২০১৬ সালের ১২ জুলাই ফরিদপুর শহরের রাজবাড়ী রাস্তার মোড় এলাকায় ছোটন বিশ্বাস হত্যার ঘটনায় হওয়া মামলার আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

Also Read: খন্দকার মোশাররফের এপিএস ফোয়াদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ফরিদপুরের আলোচিত দুই ভাই শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি (পরে বহিষ্কৃত) ইমতিয়াজ হাসান রুবেলের বিরুদ্ধে সিআইডির করা দুই হাজার কোটি টাকা পাচার মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি ফোয়াদ। ওই মামলা এবং ছোটন বিশ্বাস হত্যা মামলা ছাড়াও তাঁর বিরুদ্ধে ছয়টি মামলা রয়েছে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায়।

এ এইচ এম ফোয়াদের বিরুদ্ধে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহার বাড়িতে হামলা, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সামচুল আলমের ওপর হামলা, জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক দীপক মজুমদারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা ও সরকারি চাল আত্মসাতের অভিযোগে মামলা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, ফোয়াদের বিরুদ্ধে যে আটটি মামলা রয়েছে, তার মধ্যে সাতটি মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি এ এইচ এম ফোয়াদ। এর মধ্যে তিনটি মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে।

Also Read: বরকত-রুবেল থাবা বিস্তার করে ১০ জেলায়